পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
ভোটের আগের দিন থেকেই মেজাজ গরম ছিল অগ্নিমিত্রার। বিজেপি নেতাদের অহেতুক পুলিসি হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে ধর্নাতে বসেছিলেন। এদিন সকালে বিভিন্ন এলাকার ভোট দেখতে বেরিয়েও মেজাজ হারান অগ্নিমিত্রা। একাধিক জায়গায় তাঁকে আটকে ‘জয় বাংলা’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। এদিন সাতসকালে খড়্গপুর শহরের হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়েই শহরের বেশ কয়েকটি বুথ পরিদর্শনে যান অগ্নিমিত্রা। বিএনআর একাডেমিতে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পেয়েই রণমূর্তি ধারণ করেন বিজেপি প্রার্থী। একই অভিযোগ পেয়ে তিনি পৌঁছে যান খড়্গপুর গ্রামীণের বনপুরায়। সেখানেই প্রথম অশান্তির শুরু। তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিস।
পুলিসের অভিযোগ, অগ্নিমিত্রার কনভয়ে বেশি সংখ্যক গাড়ি রয়েছে। তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান। সেই সময়েই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন তৃণমূল সমর্থকরা। অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন তাঁরা। বিজেপি প্রার্থী অশান্তি পাকাতে এসেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
বিজেপির এজেন্টকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে কেশিয়াড়ির চাকলা প্রাথমিক স্কুলে পৌঁছন অগ্নিমিত্রা। সেখানে এজেন্টকে বুথে বসিয়ে দিয়ে যান পাশের কেন্দ্রামারি প্রাথমিক স্কুলে। অভিযোগ, দুই জায়গাতেই বুথের ভিতর ছিলেন রাজ্য পুলিসের কর্মীরা। তাঁদের ধমকে চমকে বুথ থেকে বের করেন অগ্নিমিত্রা। যদিও ফেরার সময় দুই জায়গাতেই তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এরপর দাঁতনের সাবরায় বিজেপির বুথ শিবিরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান তিনি। সেখান থেকে ফিরে খড়্গপুর শহরের ২৭নম্বর ওয়ার্ডের সিস্টেম টেকনিক্যাল স্কুলে গিয়েও বাধার মুখে পড়তে হয় অগ্নিমিত্রাকে। অগ্নিমিত্রা বলেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এত সন্ত্রাস করছে। আমাকে বুথে যেতে বাধা দিচ্ছে। ৪ জুন সাংসদ হয়ে এসে এর জবাব দেব।
তবে, এদিন সকাল থেকেই খোসমেজাজে ছিলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া। শুরুতে মেদিনীপুর শহরে বটতলা কালীমন্দিরে পুজো দেন। তারপর এদিন মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুলে পরিদর্শনে যান। সেখানের সিআরপিএফ জাওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন জুন। তলকুইয়ে বিজেপির এজেন্টের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তবে, এরপর থেকেই জুন ছিলেন একেবারে শান্ত মেজাজে। আইসক্রিম খেতে খেতে ফুরফুরে মেজাজেই এলাকায় ঘুরেছেন। জুন বলেন, গণদেবতার উপর আমার আস্থা রয়েছে। মানুষ আমাকেই জেতাবেন।