পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলামের কাছ থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কোথায় কী হচ্ছে, তার রিপোর্ট চাইতে থাকেন স্বপনবাবু। কখনও তিনি জানতে চান, সগড়াই এলাকায় দলের কর্মীরা কেমন কাজ করছে? আবার কখনও জানতে চান বাদুলিয়ার দিকে ঠিক ভোট হচ্ছে তো? খণ্ডঘোষ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বলেন, ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। ভোটারদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না কিংবা ক্যাম্প অফিসগুলিতে কর্মীরা সক্রিয়ভাবে রয়েছে কি না এসমস্ত বিষয় তিনি জানতে চান। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে কি না তা নিয়েও তিনি খোঁজ নেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয়ের ক্ষেত্রে খণ্ডঘোষ বড় ভূমিকা নিতে পারে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। ২০১৯সালের নির্বাচনে তৃণমূল এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। এবার তারা আরও বেশি লিড বাড়াতে মরিয়া। সেই কারণেই প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপনবাবু সকাল থেকেই কন্ট্রোল রুমে এসে হাজির হন। জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি রাসবিহারী হালদারেরর পার্টি অফিসে তিনি কন্ট্রোল রুম বানিয়েছিলেন। স্বপনবাবু বলেন, ভোটের দিন খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্রে ঢুকতে পারতাম না। ভোটার ছাড়া অন্য এলাকায় ঢোকা যায় না। সেই কারণেই তেলিপুকুরে পার্টি অফিসে কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছিলাম। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকার খোঁজখবর নিয়েছি। দলের নেতা-কর্মীরা কোনও সমস্যার কথা জানালে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি বলেন, সকাল থেকে তিনি বিভিন্ন জনকে ফোনে ধরতে বলেন। যুব নেতা-কর্মীদের কাছেও তাঁর ফোন যায়। দলের প্রবীণ নেতার ফোন পেয়ে কর্মীরা উজ্জীবিত হন। বুথস্তরের নেতা-কর্মীদের ফোন করে তিনি উৎসাহ জুগিয়েছেন।
স্বপনবাবু বলেন, খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্রে একাধিকবার ভোটের প্রচারে গিয়েছি। কোন এলাকায় কেমন সংগঠন রয়েছে তা জানি। সেই কারণেই ফোনে নেতাদের পরামর্শ দিতে সুবিধা হয়েছে।
গলসিতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পরিদর্শনে সুজাতা মণ্ডল।-নিজস্ব চিত্র