পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
সেহারাবাজারের কাঁটাপুকুর স্কুলে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছিল। সেখান থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষেরই ক্যাম্প ছিল। সেখানেই বসেছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম দাস। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় কোনও সমস্যা নেই। বুথে এজেন্ট বসেছে। কিন্তু অনেক জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোথাও কোথাও এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদেরও ভয় দেখানো হয়েছে। বিজেপির আর এক নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তৃণমূল অনেক প্রক্সি ভোট দিয়েছে। এই এলাকায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। তারা বাড়ি ফেরেনি। তাদের ভোটার কার্ড নিয়ে ওরা ভোট দিয়েছে।
বাদুলিয়া পার্টি অফিসে বসেই ভোট পরিচালনা করছিলেন খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে এজেন্ট দেওয়ার জন্য আমরা বলেছিলাম। সব রকমভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারপরও ওরা এজেন্ট দিতে পারেনি। মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নেই। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পেয়েছেন। সেই কারণেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভোট দিয়েছেন। বিজেপি তাতে ভয় পেয়েছে।
তৃণমূলের আর এক নেতা বিশ্বনাথ রায় বলেন, সারা বছরই মানুষের সঙ্গে আমরা থাকি। বিজেপিকে অন্য সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই কারণে ভোটের দিনও ওরা অদৃশ্য। খণ্ডঘোষ হাইস্কুলের সামনে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হারু রায়। তিনি বলেন, কেউ প্রভাবিত করেনি। নিজের ইচ্ছেতেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। আর এক ভোটার সুমনা দাস বলেন, বাড়ির কাজ সেরে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। অসুবিধা হয়নি।
খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০হাজার ভোটে শাসকদল লিড পেয়েছিল। এবার লিড আরও বাড়বে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭১টি বুথের মধ্যে সব জায়গাতেই শাসকদলের এজেন্ট ছিল। ক্যাম্পগুলিতে ও কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সংগঠন মজবুত থাকায় ভোটের দিনও তারা সব জায়গায় প্রভাব দেখিয়েছে। তবে বিধানসভা কেন্দ্রের কোথাও বড় ধরনের গণ্ডগোল হয়নি বলেই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বুথের ধারেপাশে কোথাও জমায়েত হতে দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক আধিকারিক বলেন, সকাল থেকে বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।