কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
সোমবার সকালে খবর পেয়ে পুলিস হানা দিতেই প্রথমে বাধা দেয় বাড়ির মহিলারা। তাদের বাধা পেরিয়ে পুলিস এগনোর আগেই গা ঢাকা দেয় বাড়ির মালিক জাভেদ। পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায় মুঙ্গের থেকে অস্ত্র তৈরি করতে আসা দুই কারিগর। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সামগ্রী, কিছু পিস্তল ও অস্ত্র তৈরির মেশিন। জনবহুল এলাকায় এই অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলায় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিস ও সাধারণ মানুষের নজর এড়িয়ে কীভাবে ভিন রাজ্য থেকে মিস্ত্রি এনে লোকালয়ে অস্ত্র কারখান গড়ার সাহস পেল অভিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই উৎসুক জনতা এলাকায় ভিড় জমান। বাড়িটিতে সরেজমিনে তদন্তে আসেন ডেপুটি পুলিস কমিশনার অভিষেক মোদি।তিনি বলেন, একটি বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে। প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সামগ্রী, মেশিন পাওয়া গিয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।আসানসোল পুরসভার ৮৩নম্বর ওয়ার্ডের রহমতনগরের ১০নম্বর রোডের মিনার বেকারির কাছে একটি গলিতে জন্ম থেকেই বসবাস করছে জাভেদ। সে অটো চালায়। এলাকায় বেশিরভাগই পাকা বাড়ি হলেও তার বাড়িটি টালির। কয়েকটি ঘর নিয়ে পুরনো দিনের বাড়িতেই রয়েছে বহু দরজা। পুলিস এদিন তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে কোনও অস্বাভাবিকতা টের পায়নি। ঘর, রান্নাঘর, শৌচালয় ও তার পাশেই বিশাল ‘সেপটিক ট্যাঙ্ক’। কিন্তু ভালো করে খতিয়ে দেখতেই দেখা যায়, রান্না ঘরের গ্যাসের সামগ্রীর আড়ালে রয়েছে একটি দুই বর্গফুটের সুড়ঙ্গ। সেখানেই ঢুকেছে একাধিক ইলেক্ট্রিকের তার। পুলিস রান্নাঘরের সামগ্রী সরাতেই বেরিয়ে আসে অস্ত্র তৈরির গোপন ঘর। সেখান থেকেই মুঙ্গেরের বাসিন্দা মহম্মদ ফিরোজ ও মহম্মদ তনভির গ্রেপ্তার হয়। পুলিসের ধারণা, অস্ত্র তৈরি আওয়াজ যাতে বাইরে না যায়, সেজন্যই মাটির নীচে ওই জায়গাটি গড়া হয়েছিল। সেপটিক ট্যাঙ্কের আদলে মাটির নীচে ঘর বানিয়ে এভাবে অস্ত্র তৈরির মডেল রীতিমতো উদ্বেগের। প্রতি বাড়িতেই সেপটিক ট্যাঙ্ক রয়েছে। তাই পুলিসের পক্ষে এর হদিশ পাওয়া সবক্ষেত্রে সম্ভব নয়। মূলত এখানে পিস্তল তৈরি হতো বলেই জানা গিয়েছে। এদিন পুলিসি অভিযানের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুরো এলাকায় রয়েছে ঘন জনবসতি। তার মধ্যে অস্ত্র কারখানার সন্ধান মেলায় অনেকেই অবাক হন। সেই সঙ্গে এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠছে।তবে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে অস্ত্র কারখানার হদিশ নতুন নয়। বছর দু’য়েক আগে কুলটি থানার নিয়ামতপুরে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পায়। চলতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর কুলটি থানারই দিশেরগড়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। তার একমাসের মধ্যেই এবার হীরাপুর থানায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।