উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের অফিসার মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, বাড়ি থেকে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন যাতে রান্না করতে পারেন, সেজন্য রাজ্য সরকার স্টোভ সহ রান্নার বাসনপত্র দেবে। আগে চাল, চিঁড়ে ও শুকনো খাবার দেওয়া হতো। আমরা সেসব জেনারেল রিলিফ(জিআর) হিসেবে বিডিও এবং এসডিও অফিস থেকে দেব। কিন্তু, দুর্গতদের এবার থেকে রান্নার পুরো সেট দেওয়া হবে।
এর আগে উম-পুন সাইক্লোনের সময় ত্রাণসামগ্রী হিসেবে প্রথমবার ভেজ চাউমিন এবং নুডলস দেওয়া হয়েছিল। দুর্গতদের এলাকায় ওইসব সামগ্রী বণ্টন হয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাসে বুলবুল সাইক্লোনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হ্যারিকেন দিয়েছে রাজ্য সরকার। বন্যার সময় ঘরবাড়ি জলমগ্ন হলে রান্না করতে ভীষণ অসুবিধা হয়। গ্রামীণ এলাকায় এখনও বেশিরভাগ বাড়িতে মাটির উনুন ব্যবহার করা হয়। তাতে জল জমলে রান্নার সুযোগ থাকে না। সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এবার স্টোভ দিচ্ছে। স্টোভের সঙ্গে থাকবে বাসনপত্রও।
এই মুহূর্তে নিম্নচাপের সতর্কবার্তা রয়েছে। দীঘার সমুদ্র উত্তাল। জোয়ারের সময় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিও হচ্ছে। ইতিমধ্যে নদীনালা জলে ভর্তি। গত ২০-২২আগস্ট পূর্ণিমার কোটাল এবং নিম্নচাপের যুগলবন্দিতে বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধে ফাটল দেখা যায়। পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদীর জল বিপদসীমা ছাপিয়ে গিয়েছিল। তাই আগাম সর্তকর্তা হিসেবেই রামনগর-১ ও ২বিডিও অফিসে বেশকিছু কিট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাদবাকি কিট থাকবে নিমতৌড়িতে নিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমপ্লেক্সের গোডাউনে। বিপর্যয় পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওইসব সামগ্রী পাঠানো হবে দুর্গত এলাকায়। উপকূলবর্তী এই জেলায় প্রতি বছর সাইক্লোনে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রচুর মানুষকে ত্রাণ শিবিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। এবছর ২০মে উম-পুন সাইক্লোনের সময় এক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরাতে হয়েছিল।
পুজোর প্রাক্কালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব বয়সের ছেলে-মেয়েদের জন্য পোশাক পাঠানো হয়েছে। এর আগে সেইসব নতুন পোশাক জেলা সদর থেকে বিধায়কদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিধায়করা নিজের বিধানসভা এলাকার সাধারণ মানুষজনের হাতে তা তুলে দেবেন। বুধবার বিভিন্ন এসডিও অফিসে গরিব মানুষজনকে দেওয়ার জন্য নতুন পোশাক পাঠানো হয়েছে।