শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এধরনের সমস্যা হলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম আলোচনাতেই মিটে যেত। বিশেষ করে দুই দেশের মৎস্যজীবীদের মধ্যে জল সীমা অতিক্রমের ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীই মৎস্যজীবীদের আটক করলেও কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিত। কিন্তু এবার বিষয়টি নিয়ে ভালোই জলঘোলা হয়।
বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, গত বছর জলঙ্গির শিরচর এলাকাতেও এমন ঘটনা হয়েছিল। সেইসময় এক মৎস্যজীবী পদ্মায় মাছ ধরার সময় বাংলাদেশ সীমান্তে চলে যান। ফ্ল্যাগ মিটিং করতে যাওয়ার সময় বিজিবি বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তাতে ভারতের এক জওয়ান মারা যান। ওই মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশ জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল। বেশ কয়েক মাস পর ফের এই ঘটনা ঘটে।
বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাকমারি এলাকায় ভারতীয় জল সীমান্তে বাংলাদেশের তিন মৎস্যজীবী ঢুকে যায়। বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রানিনগর এলাকার বামনাবাঁধের চর থেকে দুই ভারতীয় চাষিকে বিজিবি তুলে নিয়ে চলে যায়। চাষি পরিবারের এক সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিওপির তিন নম্বর পয়েন্টে এন্ট্রি করে ওরা চরে গিয়েছিল। একআনিতে কীটনাশক দিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। মাঠে কাজ করার সময় বাংলাদেশের ইউসুফপুর ক্যাম্প থেকে বিজিবি এসে হঠাৎ করেই নয়ন শেখ এবং শহিদুল শেখকে তুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিএসএফ ভারতের ভূখণ্ডের ভিতরে থাকে। সেই সুযোগটাই বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ নিয়েছে। সীমান্তে জওয়ানরা না থাকায় চরে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের অত্যাচার দিন দিন বাড়ছে। হামেশাই তারা ফসলের ক্ষতি করছে। এছাড়া গবাদি পশুও নিয়ে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ রুখতে সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অনেক বেশি বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পদ্মার শাখা নদীর দুই পাড়েই জওয়ানরা থাকছেন। তার ফলে চোরা কারবারেও অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে।
বিএসএফের অপর এক আধিকারিক বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়েছে। তারা এপারে এসে যাতে সংক্রমণ না ছড়াতে পারে, তারজন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার লক্ষ্য তো রয়েছেই।