শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
এগরার মহকুমা পুলিস আধিকারিক আখতার আলি খান বলেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিসের উপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই এই এলাকায় উম-পুনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘ফুড কুপন’ দেওয়াকে কেন্দ্র করেও ক্ষোভ ছিল। এর প্রতিবাদে এদিন সকাল ৯টায় এলাকার কিছু লোকজন এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, অবরোধকারীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। দু’পক্ষের আলোচনায় ঠিক হয়, থানায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। চন্দনবাবু যখন পুলিসের সঙ্গে থানায় যাচ্ছিলেন তখন বিক্ষোভকারীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করে। হামলাকারীদের সরাতে গেলে পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট-পাথর। এক পুলিস কনস্টেবল ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। ভাঙচুর করা হয় ওসির গাড়ি। বেগতিক দেখে পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ আরও হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি বাস, ট্রেকার সহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ফের শুরু হয় অবরোধ। এরপর পুলিস ও র্যা ফ নেমে অবরোধকারীদের হটিয়ে দিলে দুপুর ১টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
চন্দনবাবু বলেন, বিজেপি এবং সিপিএম উস্কানি দিয়ে কিছু পরিযায়ী শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাকে রাস্তায় নামিয়েছিল। গণ্ডগোল পাকানোই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। কারণ আমি তখন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম, তখন তাঁরা কোনও কথা না শুনেই আমার উপর চড়াও হয়। তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। একইভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরাও তাঁদের প্রাপ্য পাবেন। এখানে স্বজনপোষণ বা দলবাজির কোনও ব্যাপার নেই। সবই বিরোধী দলগুলির চক্রান্ত।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী এবং এলাকার সিপিএম নেতা কালীপদ দাস মহাপাত্র বলেন, উম-পুনের ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় চূড়ান্ত স্বজনপোষণ হয়েছে। তাই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এদিন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে কোনও দলের কোনও যোগ নেই। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সব দলের লোকই ছিলেন। এমনকী, শাসক দলের লোকজনও।