শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ ও ২৯ জুন আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি ও আরামবাগের দক্ষিণ নারায়ণপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকজনের লালারস সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগে রিপোর্ট আসে। তাতে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই সম্প্রতি কর্ণাটক, বিহার, গুজরাত ও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে এনডিআরএফের দুই কর্মী, আরামবাগ শহরের চারজন রয়েছেন। বাকিরা আরামবাগ ব্লকের আরাণ্ডি-২, গৌরহাটি-২, মায়াপুর-১ ও ২, মুথাডাঙা এবং বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া আরামবাগ শহরের একই পরিবারের তিনজন সদস্য করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। তাঁরা ভিন রাজ্য থেকে কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সম্প্রতি আরামবাগে ৩১ সদস্যের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল আসে। ওই টিমে থাকা দুই কর্মী শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন। তাই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্যদপ্তরের রেকর্ডে তাঁদের ঠিকানা আরামবাগ এসডিও অফিস উল্লেখ ছিল। যে কারণে তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই এসডিও অফিসে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন সকালে এনডিআরএফের আক্রান্ত দুই কর্মীকে আরামবাগের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের স্বাস্থ্যের গতিবিধির উপর নজর রাখছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এদিন সকালে এসডিও অফিসও স্যানিটাইজ করা হয়।
স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের দাবি, মহকুমায় নতুন করে আক্রান্তের ঘটনা ঘটলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই কোনওরকম উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।