সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
কান্দি বিধানসভার উপ নির্বাচন ঘিরে এখন এলাকায় জোর প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআই এবং বিজেপি। চারদলের পক্ষ থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় রোড শো, মিটিং, মিছিল করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অধীরবাবু কান্দিতে দলীয় প্রার্থী সফিউল আলম খানের সমর্থনে দু’টি নির্বাচনী সভা করেন। প্রথমটি বিকেলের দিকে এলাকার মাহাদিয়া গ্রামে এবং পরে রাতের দিকে কান্দি বিশ্রামতলা এলাকায়। সভায় অধীরবাবু পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলী সন্ত্রাস, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাম্পদায়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। পাশাপাশি কংগ্রেস সরকার ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলেও দাবি করেন।
তবে দু’টি সভাতেই অধীরবাবু নওদা এবং কান্দি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর স্বপক্ষে সাওয়াল করতে গিয়ে হিন্দু-মুসলিম তত্ত্বের কথা শোনান। অধীরবাবু বলেন, এর আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নওদায় কোনওদিন হিন্দু ছেলেকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এই প্রথম নওদায় একটি হিন্দুর ছেলেকে কংগ্রেসের এমএলএর টিকিট দিয়ে দেওয়া হল।
তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। সেই দলের লোকরা এখানেও কানে কানে বলছে, কান্দিতে একটি মুসলিম ছেলেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমি বলে রাখি, আগে এখানে হিন্দু প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু, মীরজাফর হয়ে গিয়েছে। তাই এবার কান্দিতে মীরমদন হিসেবে মুসলিম প্রার্থী দিয়েছি। এখানে মীরজাফরকে ত্যাগ করে, মীরমদনকে নিয়ে এসেছি। এখানকার প্রার্থী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে। যে নিজেকে হিন্দু মুসলমান সকলের প্রতিনিধি ভাবে। ঠিক তেমনই নওদাতেও আমাদের প্রার্থী আগের কংগ্রেস এমএলএ-দের মতো টাকার বিনিময়ে হাটে বিক্রি হয়ে যাবে না। এখানকার প্রার্থী যদি বেইমানি করে তাহলে আমি ওকে তেঁতুলগাছে বেঁধে পেটাব। ওঁরা যদি বেইমানি করে তহালে আপনারা আর আমার পাশে দাঁড়াবেন না।
এদিকে অধীরবাবুর ওই বক্তব্য নিয়ে এলাকার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি’র পক্ষ থেকে বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে বিজেপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র বলেন, অধীরবাবুর এই ধরনের বক্তব্য অতি ভয়ঙ্কর। বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে না। জেলায় জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রেও দল সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু, কংগ্রেস ও তৃণমূল যা করছে তাতে ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করে হচ্ছে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস বলেন, অধীর চৌধুরী উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। উনি এই নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার মুখে। আমাদের জেলায় হিন্দু ও মুসলিম একসঙ্গে যুগযুগ ধরে বাস করছি। সেখানে এই জাতীয় কথা বলাটাই অপরাধ। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে।