সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে এই শহরে বিজেপি প্রথমস্থান পায়। ২০১৪’র লোকসভাতেও সেই ট্র্যাডিশন বজায় থাকে। ২০১৬’র বিধানসভা ভোটে তো দলের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ খড়্গপুর শহরের মিথ জ্ঞানসিং সোহনপাল তথা চাচাকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেস ১১টি করে আসনে জয়ী হয়। বিজেপি দখল করে ৭টি আসন। পরে অবশ্য কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলার তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু, গত বিধানসভা ভোটে বেশিরভাগ তৃণমূলের ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী গোহারা হেরে যান। অনেক ওয়ার্ডে জমানতও বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এবার লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল জানিয়ে দেয়, যদি কোনও কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী হেরে যান, তাহলে সেই কাউন্সিলারকে দল আর পুরসভায় প্রার্থী করবে না।
লোকসভা ভোট মিটলেই পুরসভার ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। তাই এবার দোটানায় পড়েছেন দলের কাউন্সিলাররা। একদিকে লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থীকে ভালো ভোটের ব্যবধানে জয়ী করানোর চাপ, অন্যদিকে, ওয়ার্ডে জয় এনে পুরসভা ভোটের টিকিট পাওয়া নিশ্চিত করা। এই শহরে তীব্র গোষ্ঠী বিরোধের ফলে দলের অবস্থা খুবই খারাপ বলে অভিযোগ। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে আছে। তার উপর দলের বিধায়ক থাকায় তাদের একটা আলাদা অ্যাডভান্টেজ আছে। উপরি পাওনা অবাঙালি ভোটের আধিক্য। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, বিশেষ করে রেলের কর্মীদের ভোটের বেশিরভাগটাই যায় কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষে। সব মিলিয়ে চিন্তায় তৃণমূল কাউন্সিলার ও শহরের নেতারা।
এর আগে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সভা করে বলে গিয়েছিলেন, দলের চার নেতা অর্থাৎ শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে, চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার এবং দুই কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরী ও জওহরলাল পাল একসঙ্গে দলের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনবেন। তবুও একটা কোথাও চির থেকেই গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাই শেষলগ্নে শহরে সভা করে দলের পক্ষে টেম্পো তুলে দিয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। প্রশংসা করেন চেয়ারম্যানের।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারকে কাজে লাগাতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন দলের কাউন্সিলাররা। এদিন সকাল থেকে এলাকায় এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করে দেন কাউন্সিলাররা। দেবাশিসবাবু বলেন, এদিন সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার চালিয়েছি। বিকেলে এলাকায় মিছিল হয়। প্রদীপবাবুও এদিন বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। বিকেলে মিছিল করে এলাকা পরিক্রমা করেন। আর এক কাউন্সিলার তুষার চৌধুরী বলেন, বাড়ি বাড়ি প্রচার দু’দফা হয়ে গিয়েছে। এদিনও কয়েকটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাই। তবে আমি এদিন গোটা এলাকায় মাইকে প্রচারে জোর দিয়েছি।
গত বিধানসভা ভোটে যাঁরা জয় ধরে রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তৈমুর আলি খান একজন। এদিন তিনিও বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। তিনি বলেন, আমার এলাকায় শেষ মুহূর্তেই প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। তার উপর নেত্রী সভা করে যাওয়ার পর আর প্রচার লাগে না। তবুও এদিন কয়েকটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছি। রবিবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার পর একটা টেম্পো উঠেছে। তা ধরে রাখতে এদিন যেমন অনেক কাউন্সিলার বাড়ি বাড়ি প্রচার চালিয়েছেন, তেমনই অনেক ওয়ার্ডেই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।