সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এদিন সকালে গড়বেতার নয়াবসত থেকে চন্দ্রকোণা রোড পর্যন্ত সভা করেন মিমি। ঝাড়গ্রাম লোকসভার প্রার্থী বীরবাহা সোরেন টুডুর সমর্থনে প্রচার সারেন তিনি। পরে ধেঁড়ুয়া থেকে খয়েরুল্লাচক পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। টলিউডের নায়িকা তথা তৃণমূলের প্রার্থীকে একবার দেখতে সব জায়গাতেই ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। এদিকে দেব এদিন কেশপুরে রোড শো করেন। ভিড় দেখে কয়েক জায়গায় বক্তব্যও রাখেন তিনি। দেব বলেন, আমি আপনাদের গ্রামের ছেলে, আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই। ১২ তারিখ সকাল সকাল ভোট দেবেন। নিজের ভোটটা নিজে দেবেন।
দেবকে দেখতে এদিনও বিভিন্ন জায়গায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শেষ বেলায় মেদিনীপুর শহরে রোড শো করে মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। হুডখোলা জিপে প্রচার সারেন তিনি। পিছনে ছিল টোটো। স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায় মিছিল। বিকালে ঝাড়গ্রামের প্রার্থীর সমর্থনে চন্দ্রকোণা রোডে রোড শোয়ে যোগ দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিকে, এদিন ঘাটাল মহকুমার দু’টি বিধানসভা এলাকায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই নানাভাবে শেষদিনের প্রচার সারে। এদিন সকালে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব খড়ার পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামে রোড শো করেন। দুপুর পর্যন্ত প্রচার চালান। মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহিলাদের আবদার মেনে এদিন ইন্দ্রাণী হালদারকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আনা হয়েছিল। তিনি হরিসিংহপুর মাড়োতলা এবং মনোহরপুর বাজারে একটি করে পথসভা করেন। তারপর তিনি দাসপুর-২ ব্লকের জোৎঘনশ্যাম সহ কয়েকটি জায়গায় প্রচারে যান। এছাড়াও তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রত্যকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অটো এবং টোটোয় করে মাইক নিয়ে প্রচার করা হয়।
বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের যোগাযোগ রাখার দিকে জোর দিয়েছে। বিজেপির ঘাটাল লোকসভা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে বলেন, আমরা এদিন কোনও মিছিল বা পথসভার আয়োজন রাখিনি। ঘাটাল ও দাসপুর বিধানসভা এলাকার প্রত্যেকটি বুথে আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচারের কাজ সেরেছেন। সেই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক টোটো এবং অটোয় করে প্রচার চালানো হয়েছে। পিংলায় প্রচার সারেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।
নারায়ণগড়ের পাকুড়সিনি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রচার সারেন মানস ভুঁইয়া। গরমে দফারফা অবস্থা হয় তাঁর। বেলদায় একটি কর্মিসভাও করেন তিনি। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। কিন্তু শেষ সময়ের প্রচারে তাতে আর কেউ নিজেকে আটকে রাখেননি। প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন সকলেই।