সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মেচেদা থার্মাল গেট থেকে তৃণমূলের রোড শো শুরু হয়। এই রোড শো তমলুক মেচেদা রাস্তার প্রায় ১৩ কিলোমিটার অতিক্রম করে তমলুকের নারায়ণদাঁড়িতে শেষ হয়। এই রোড শো দেখতে রাস্তার দু’দিকে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। চারটি পণ্যবাহী ট্রেলারকে সুন্দর করে সাজিয়ে তাতে থাই ব্যান্ড পার্টি, লোকগানের দল, ঝুমর গানের দল, ঢাকিদের তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা বিভিন্ন গানের সুর তুলে মানুষকে মোহিত করে দেয়। এছাড়া ১০টি ছোট হাতি গাড়িকে ট্যাবলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। এছাড়া শতাধিক টোটো, কয়েকশো বাইক নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের এই মিছিল এলাকাবাসীর নজর কাড়ে। রোড শোয় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা ও সেলিম আলি উপস্থিত ছিলেন।
এদিন রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে শুভেন্দুবাবুর র্যা লি দেখার জন্য মানুষ ব্যাপক ভিড় জমান। তীব্র গরম উপেক্ষা করে গ্রামবধূরা বিভিন্ন জায়গায় শঙ্খ বাজিয়ে ও ফুল ছড়িয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। মানুষের অভিনন্দন নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুবাবু কয়েক মিনিটের জন্য বক্তব্য রাখেন। কাঁকটিয়া বাজারে শুভেন্দুবাবু বলেন, ১২ তারিখ ভোট হয়ে গেলে সকলেই পালিয়ে যাবে। কিন্তু, আমি আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা দিব্যেন্দু অধিকারীকে জেতান। আমি উন্নয়নের গ্যারান্টার। পান ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে যখনই কেউ বিপদে পড়েছেন, তখন এই শুভেন্দুই পাশে থাকে। শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার নামাঙ্কিত ব্লককে মডেল ব্লকে পরিণত করার দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর। সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে, উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করতে, তমলুকে দ্রুত মেডিক্যাল কলেজের রূপায়ণ করতে, মহিষাদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করতে আপনারা জোড়াফুলের প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করুন।
মহিষাদলের নামালক্ষ্যায় জনসভায় রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, প্রাক্তন সংসদ সদস্য মইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। মহিষাদলের রথতলার জনসভায় অভিনেত্রী শুকুন্তলা বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। হলদিয়ার দুর্গাচক ক্ষুদিরাম স্কোয়ার থেকে সিপিটি মার্কেট পর্যন্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে র্যা লি হয়। এদিন রামনগরে প্রচার চলান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিঙ্গুর জমি রক্ষা আন্দোলনের নেতা বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির মুখে ঝামা ঘসে দিয়েছেন আমাদের দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলে প্রমাণ হবে, এরাজ্যের মানুষ দিদির পাশেই আছে।
বাম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি এদিন ময়না ও কোলাঘাটে পথসভার পাশাপাশি মেচেদায় রোড শো করেন। বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করের সমর্থনে ময়নার দেউলিমাঠে জনসভায় আসা বিপ্লব দেব বলেন, দিদি ২০১১ সালে বাংলায় পরিবর্তন করেছিলেন। আমরা ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় পরিবর্তন করেছি। ত্রিপুরাতে গুণ্ডারাজ, মাফিয়ারাজ, ক্যাডাররাজ নেই। দিদি পরিবর্তনের পর বামেদের মাফিয়া ও ক্যাডারদের আঁচলে করে সঙ্গে এনেছেন। এই জেলায় অধিকারী ব্রাদার্স জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম করেছে। ২৩ তারিখ ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর ১০০জনের বেশি বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবেন। তখন দেখবেন, আপনার শুভেন্দুবাবুও চলে যাবেন। অনেক দিন ধরেই তিনি লাইন লাগিয়ে রেখেছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভগবানপুরের বিভীষণপুর থেকে পটাশপুরের পাথরঘাটা পর্যন্ত ২২কিলোমিটার রাস্তায় এদিন বর্ণাঢ্য রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়। হুডখোলা গাড়িতে চেপে রোড-শো করেন অভিনেতা অঙ্কুশ, অভিনেত্রী পায়েল সরকার, রণিতা দাস(বাহা)। পরে চিত্রতারকারা কাঁথি শহরের দারুয়ায় শিশিরবাবুর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন। ওই সভায় পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, প্রার্থী শিশিরবাবু সহ অন্যান্য নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর কাঁথি বিধানসভার গোবিন্দবাজারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডাকে অনুষ্ঠিত জনসভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। সিপিএম প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়ক মুগবেড়িয়া সহ আশপাশের এলাকায় এদিন রোড শো করেন। বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস সামন্ত ও কংগ্রেস প্রার্থী দীপক দাস বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার সারেন।