সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা গরমে রাজনাথের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মাথার উপর ছাউনিটুকুও ছিল না। এদিন রাজনাথের বক্তব্যের মূল নিশানা ছিল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন তিনি। রাজনাথ বলেন, মুখে সব দল গরিবি হটানোর কথা বলছে। অথচ কেউই গরিবি হটানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগী হচ্ছে না। সকলেই গরিবিকে নির্বাচনের হাতিয়ার করছে। গত পাঁচ বছরের শাসনকালে গরিবি হটানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, জাতীয় সড়ক তৈরি সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং জনমুখী কর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজনাথ বলেন, এই সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প নিজেদের সরকারের নামে করে নিচ্ছেন উনি (মুখ্যমন্ত্রী)। এখন ওঁর কাজ শুধু প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করা। ফণী ঝড় সম্পর্কে খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রীর করা ফোন মুখ্যমন্ত্রীর না ধরারও সমালোচনা করেন রাজনাথ। রাম নামকে গালিগালাজ বলারও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন। হিম্মতের সঙ্গে পদ্মকে আঁকড়ে ধরুন। ভোটের দিন যদি কেউ ভয় দেখায়, তাহলে রুখে দাঁড়ান।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দাপটে এরাজ্যের মানুষ ভোট দিতে পারেননি। তাঁর দাবি, পাঁচ দফার ভোটে রাজ্যে প্রতিটি আসনই যে বিজেপি পাবে, তা বুঝে গিয়েছে তৃণমূল। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাদের এত সমস্যা। তাছাড়া মা, মাটি, মানুষ কোনও কিছুই এখন সুরক্ষিত নয়। বিজেপিই সেই সুরক্ষা দিতে পারে।
রাজনাথ বলেন, আবার শুনছি, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) নাকি আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়েছেন। সেই জোটের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে দেশে প্রধানমন্ত্রী হবেন একজনই। তিনি হলেন নরেন্দ্র মোদি। তাই মোদিজির হাত শক্ত করতে দেবাশিস সামন্তকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। সভায় প্রার্থী ছাড়াও বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন মাইতি, সহ-সভাপতি অমলেন্দু পাহাড়ি সহ রাজ্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।