শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এদিন শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ছাড়াও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম, দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য সহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কিছু পুজো কমিটির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের পর ওএসডি বলেন, বর্তমানে উত্তরবঙ্গে সিসিইউতে বেডের সংখ্যা ১৬৮টি। শীঘ্রই তা আরও ৮৮টি বৃদ্ধি করা হবে। এখানে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ১৯৭টি। ইতিমধ্যে আরও ৮৮টি ভেন্টিলেটর এসেছে। যারমধ্যে ১০-১২টি শিলিগুড়িতে রাখা হবে। বাকিগুলি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। পুজোয় চিকিৎসা পরিষেবা চাঙা রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিং জেলায় সংক্রমণের হার কিছুটা বেশি। বর্তমানে এখানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে কোভিড চিকিৎসার বেড সংখ্যা ৪৮৪টি। এর বাইরে আরও ১১৪টি বেড এবং তিন-চারটি সেফ হোম স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কয়েকদিন আগে বিশ্বকর্মা পুজো হয়। তা একদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই উৎসবের সাত দিন পর উত্তরবঙ্গে সংক্রামিতের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যায়। বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো চারদিন ধরে চলে। এতে কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। তাই পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এলাকার লোকদের নিয়েই পুজো সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, পুজোর উদ্যোক্তাদের কোভিড টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের চিহ্নিত করে হোম আইসোলেশনে রাখতে শিলিগুড়ির জনবহুল এলাকাগুলিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে জোর দেওয়া হবে।