শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর বলেন, সাবিত্রী মিত্র আমাদের দলের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য নেত্রী। তিনি শুধু প্রাক্তন মন্ত্রীই নন, দলের সংগঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে শুনে আমরা হতবাক। তাঁর সঙ্গে আমি ফোনে বিস্তারিত কথা বলেছি। পুলিস কর্তাদের অনুরোধ করেছি, কোনও রাজনৈতিক রঙ না দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। সাবিত্রী মিত্র শুক্রবার বলেন, সদরঘাট পুজো কমিটির সঙ্গে আমি ও আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। আমি ওই পুজো কমিটির সভাপতির পদেও রয়েছি। বুধবার রাতে আচমকাই কয়েকজন যুবক আমার বাড়িতে এসে দরজায় লাথি মারতে থাকে। ওই যুবকদের আচরণ এতটাই মারমুখী ছিল যে আমার পরিবারের সদস্য ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ওই দুষ্কৃতীরা আমার কাছে জানতে চায় যে কেন কমিটির সভাপতি হিসাবে আমি পুজোর বৈঠক ডাকছি না। আমি স্পষ্টভাবে বলি, আমিও চাই এই ঐতিহ্যশালী পুজো এবছর হোক। গত বছর ওই এলাকায় পুজো হয়নি। সেজন্য আমি ব্যথিত। কিন্তু পুজোর বৈঠক ডাকার কথা সম্পাদকের। তাঁর সঙ্গে আমি বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগেও কথা বলেছি। এই ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা নাম না করে এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
তাঁদের বক্তব্য, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির ঘনিষ্ঠরাই সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে চড়াও হয়েছেন। মন্ত্রীর এক আত্মীয় বলেন, যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বোঝা যাবে প্রাক্তন মন্ত্রীকে হেনস্থার পিছনে কার বা কাদের মদত রয়েছে। এব্যাপারে ওই পুজো কমিটির সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পুজো নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুজো সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন সাবিত্রী মিত্র। নিজস্ব চিত্র