বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুরের কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রশাসন) বিপ্লব ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবার কালিয়াগঞ্জে আসছেন। জেলা সফরে তিনি সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান করেন। কৃষি দপ্তরের প্রচুর স্কিম রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু পরিষেবা তিনি এবার জেলা সফরে এসে নিজ হাতে কৃষকদের তুলে দেবেন। ১০ জন কৃষক বা তাঁদের পরিবারকে তিনি মঞ্চ থেকে নিজের হাতে পরিষেবা তুলে দেবেন। আরও হাজার জনের হাতে আমরা সেদিনই কাউন্টার থেকে নানা পরিষেবা তুলে দেব।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মৃত্যুকালীন সহায়তা হিসেবে চারটি কৃষক পরিবারের প্রত্যেককের হাতে দু’লক্ষ টাকা করে চেক তিনি তুলে দেবেন। কৃষক বন্ধু মৃত্যুকালীন সহায়তা প্রকল্পে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার এককালীন এই সহায়তা পায়। ওই বয়সের মধ্যে কোনও কৃষকের দুর্ঘটনায়, রোগে বা স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবার এই সাহায্য পাবে। ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট ফর ফার্ম মেকানিজম বা কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি একজন কৃষকের হাতে পাওয়ার টিলার তুলে দেবেন। কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া কেন্দ্রর স্কিমে তিনি পাঁচজন কৃষকের প্রত্যেককে একটি করে ট্রাক্টর, একটি করে কম্বাইন্ড হারভেস্টর ও একটি করে মাল্টি ক্রপ থ্রেসার মেশিন তুলে দেবেন। এইসব যন্ত্রপাতি কৃষকরা ৪০ শতাংশ অনুদান বা সাবসিডিতে পাবেন।
এর বাইরে সেদিন কৃষি দপ্তরের কাউন্টার থেকে হাজার জন কৃষককে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হবে। স্টল করে সেগুলি বিলি করা হবে। এরমধ্যে ৩০০ জন কৃষককে কৃষক বন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পের আওতায় পাঁচ হাজার টাকা করে চেক দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে কোনও কৃষকের এক একর জমি থাকলেই তিনি বছরে দু’দফায় পাঁচ হাজার টাকা পাবেন। এক একরের কম জমি থাকলে সেই কৃষক বছরে হাজার টাকা অনুদান পাবেন। আরও ৩০০ জন কৃষককে কিষান ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হবে। এই কার্ড থাকলে কৃষকরা চাষের প্রয়োজনে ঋণের পাশাপাশি ফসল বিমার সুবিধাও পেয়ে থাকেন। এই সুবিধা কৃষক, ভাগ চাষি এমনকি লিজ চাষিরাও পেতে পারেন। এতে ফসল চাষের জন্য খুব কম সুদে স্বল্পমেয়াদী ঋণ পাওয়া যায়। এছাড়াও কৃষি সম্পদ রাখা বা সংরক্ষণ, কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা-এসব কাজে ঋণ পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ মিটিয়ে দিলে সুদের হারে ছাড় মেলে। এর বাইরে ৪০০ জন কৃষককে মাটির স্বাস্থ্য কার্ড বিলি করা হবে। এই কার্ড থাকলে কৃষকেরা মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে পারবেন। জমির চরিত্র বুঝে ফসল চাষ করতে পারবেন। জমিতে কখন কী সার প্রয়োগ করতে হবে সে সম্পর্কেও কৃষকরা জানতে পারবেন।