বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধ করে খুনের পর মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে কুমারগ্রামে শম্ভু রায় নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পকসো আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার বুধবার সকালেই নাবালিকার বাড়িতে যান। তিনি বলেন, অত্যন্ত ঘৃন্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সভ্য সমাজে এধরনের নারকীয় ঘটনা মানা যায় না। আমরা ওই নাবালিকার পরিবারের পাশে আছি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাবালিকা অভিযুক্ত প্রতিবেশী শম্ভুর বাড়ির পাশেই খেলছিল। সেসময় শম্ভুর স্ত্রী রিংকিদেবী দুই বাচ্চাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফাঁকা বাড়িতে শম্ভু নাবালিকাটিকে নিজের শোওয়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে বাবা মা মেয়েকে খুঁজতে বের হন। ইতিমধ্যে শম্ভুর স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে ফিরে শোওয়ার ঘরের বিছানায় চাপ চাপ রক্তের দাগ দেখে ও ঘরের মধ্যে অচেনা জুতো জোড়া দেখে সন্দেহ করেন। পরে তিনি নাবালিকার বাবা মা’কে জুতো জোড়া ফিরিয়ে দিয়ে স্বামীর বিছানায় লেগে থাকা রক্তের দাগ প্রতিবেশীদের দেখান। এই ঘটনায় সকলেরই শম্ভুর প্রতি সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীরা তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে চেপে ধরলে সে পুরো কীর্তির কথা খুলে বলে। তারপর পুলিসে খবর দেওয়া হয়। শম্ভুই দেখানো রায়ডাকা নদীর চরে মাটি খুঁড়ে পুলিস নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার করে।