বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
গৌতমবাবু বলেন, মাঝেমধ্যেই আমি দানধ্যান করি। এরসঙ্গে অন্য কোনও সম্পর্ক নেই। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে লোকের, পাড়ার সমস্যার কথা শুনছি। যেসব আমার হাতে রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করছি। বাকিটা কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। এসব নিয়ে ফাইল বানাচ্ছি। ৪৭টি ওয়ার্ডের জন্য ৪৭টি ফাইল হবে। সবটাই পরবর্তীতে কাজে আসবে।
পুরভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও এখন থেকেই ময়দানে নেমেছেন মন্ত্রী। এক্ষেত্রে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে সমস্ত ওয়ার্ড সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহে নিজেই ওয়ার্ডে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলা সভাপতি না হলেও কার্যত দলের চাবিকাঠি নিজের হাতে রাখতেই তাঁর এই কৌশল।
জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী রোজই কোনও না কোনও ওয়ার্ডে দলীয় কর্মসূচি রাখছেন। এখনও পর্যন্ত ১৫, ২৯, ২১, ২২, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরিক্রমা সেরে এসেছেন। ৩৩, ৩৫, ৪০, ৩৭, ৪২ ওয়ার্ডে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি করেছেন। এরমধ্যে ৩২, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি করবেন। ৪০, ১৫, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড পরিক্রমা করে রাতে থেকেছেন। ওসব ওয়ার্ডের ফাইল মন্ত্রী বানিয়ে ফেলেছেন। এছাড়াও ক্লাব, মন্দির কমিটির সদস্যদের মন বুঝে নিতে পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছেন। এদিন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবজ্যোতি সঙ্ঘ, আমরা সবাই সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাব, সূর্য সেন ক্লাব সহ দু’টি কালীবাড়ি ও একটি আশ্রমে যান।
গত মঙ্গলবার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদনগর ক্লাব, ভানুনগর ক্লাব, ২ নম্বর ওয়ার্ডের নবাঙ্কুর সঙ্ঘ, কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্লাব, বাঘাযতীন স্পোর্টিং ক্লাবে মিটিং করেন। গত সোমবার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের রথখোলা স্পোর্টিং ক্লাব, ভারতী সঙ্ঘের সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করেন। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সিনিয়র সিটিজেন, আবাসন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন। ওয়ার্ড সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য হাতে রেখেই মন্ত্রী পুরভোটে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।
সম্প্রতি রথখোলা মোড়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ছ’টি দোকানকে গৌতমবাবু ১০ হাজার টাকা করে দেন। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে হাউজিং ফর অল প্রকল্পে একটি পরিবার ঘর পায়। পুরনো ঘর ভাঙতে গিয়ে ওই বাড়ির মালিক সুজিত সাহার পায়ে স্ল্যাব পড়ে যায়। তাঁর একটি পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারটিকে মন্ত্রী চিকিৎসার জন্য টাকা দেন। সবিতা রায় বেঙ্গালুরু থেকে মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার করেন। ওই পরিবারটির ফের বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য মন্ত্রী ট্রেনের আসা-যাওয়ার টিকিট করে দেন।