বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন বেলা ২টো থেকে সম্মেলন শুরু হয়। জেলা সম্মেলনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পরে জাতীয় সড়কের যান চলাচল। যানজটের কারণে অনেকটা দেরিতে রাজ্য নেতৃত্ব সভায় উপস্থিত হয়। বাইরের জেলায় কর্মসূচি থাকায় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মেলনে হাজির হতে পারেননি বলে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলা সম্মেলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি তৃণমূল ক্ষমতায় এসে অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছে, শ্রমিকরা কী কী সুবিধে পাবেন সেবিষয়ে জানান। নেত্রী সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসাথীর মতো চিকিৎসা পরিষেবার বিষয় শ্রমিকদের জানান। মোদী সরকার চা ওয়ালা হয়েও দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের কথা ভাবেন না বলে বিজেপি সরকারের তুলোধোনা করেন। সম্মেলনে মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু একেবারে শেষে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, মোদী সরকার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আড়াল করতে গিয়ে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করেছে। সাধারণ মানুষ কাজ পাচ্ছে না। জনগণনার নামে কোনও কাজ এরাজ্যে আমরা করতে দেব না। বিজেপি সরকারের বাজেটের মিটিংয়ে অর্থমন্ত্রী থাকেন না। মোদী ও অমিত শাহ দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করতে চাইছেন। আমাদের সরকার ন্যূনতম মজুরির ব্যবস্থা করেছে। অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগের তুলনায় আমাদের রাজ্যে শ্রমিকদের অবস্থা তুলনামূলক ভাবে ভালো।
তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমাদের ডাকা শ্রমিক সম্মেলন সফল হয়েছে। আমাদের দু’জন মন্ত্রী এদিন সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। আমাদের টোটোচালক ভাইরা অনেক কম সংখ্যায় উপস্থিত হয়েছেন। বিষয়টি আমি নেতৃত্বকে দেখতে বলব। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আমরা জেলার পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সম্মেলন করতে চলেছি। আমরা এখন থেকে স্বনির্ভর দলের মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের জন্য ছোট বই প্রকাশ করব। তাতে আমাদের সরকার কী কী কাজ করছে, কীভাবে সরকারি সুবিধে পাওয়া যাবে তার উল্লেখ থাকবে।