বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, সুজাপুরে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তা শুরুও হয়েছে। রাজ্য সরকার সবদিক বিবেচনা করেই বিষয়টি নিয়ে সংবেদনশীল হয়ে এগচ্ছে। হাতে কোনও ইস্যু না থাকায় বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় রাজনীতি করছে। মৌসম আরও বলেন, রবিবারে সুজাপুরে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলব। তাদের মনে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে যে আতঙ্ক রয়েছে তা স্পষ্ট। বন্ধের দিন তাই তারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতেই রাস্তায় নেমেছিল বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি কালিয়াচক থানার ইনস্পেক্টর – ইনচার্জের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদল কথা বলবে। নিরীহ নাগরিকদের যেন কোনওভাবেই হেনস্তার শিকার না হতে হয় তা দেখার জন্যও পুলিসকে অনুরোধ করা হবে। উল্লেখ্য, চিকিৎসার কারণে বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে থাকার পর সম্প্রতি মৌসম নুর মালদহে ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি কংগ্রেস ও বিভিন্ন বামপন্থী দলের শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে ভারত বন্ধ ছিল। ওই সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুজাপুরে। পুলিস ও জনতার মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিসের ও সাধারণ নাগরিকদের বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট বৃষ্টি করা হয়। পুলিসের দিকে উড়ে আসে শিশি বোতলও। বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী জখম হন। পাল্টা পুলিসের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়ার অভিযোগও ওঠে। এছাড়াও ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও’তে দেখা যায় কয়েকজন পুলিস কর্মী বিনা প্ররোচনায় সাধারণ নাগরিকদের গাড়ির কাঁচ ভাঙছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। রাজ্য সরকার পুলিসি তদন্তের পাশাপাশি সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দেন। সিআইডি’র স্পেশাল সুপারিন্টেনডেন্ট ডেভিড লেপচা ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে মালদহে রয়েছেন। ঘটনাস্থলেও ঘুরে এসেছেন। পুলিসের উপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে এখন পর্যন্ত নয় জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। আরও বেশ কয়েকজনের খোঁজ চলছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে সুজাপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ ঘটনার পর থেকে চলতে থাকা নিয়মিত পুলিসি অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষতঃ যে পড়ুয়ারা মাস খানেকের মধ্যে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন পরীক্ষা দেবে তারাও পুলিসের ভয়ে বাড়ির বাইরে রাত কাটাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি। এই প্রসঙ্গে পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আমরা দোষীদের নিশ্চিতভাবেই গ্রেপ্তার করব। তবে সকলেই দোষী নন। পুলিস সংবেদনশীল হয়েই কাজ করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে আমরা মানুষকে বার্তা দিয়েছি। অকারণ আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও এদিন জানিয়েছেন পুলিস সুপার।