বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মালদহের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অব কোঅপারেটিভ সোসাইটিজ (এআরসিএস) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। বিভাগীয় তদন্তে এক কর্মী ইতিমধ্যেই তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। কল্যাণব্রত ঘোষ নামে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে আমরা ইংলিশবাজার থানায় অভিযোগ করেছি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অনিয়মের দায় সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট ইন চার্জ ও ক্যাশিয়ারও অস্বীকার করতে পারেন না। আমরা এফআইআরে তার উল্লেখ করেছি। আইন আইনের পথেই চলবে।
মালদহ সমবায়িকা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই কর্মী অফিস স্টেশনারি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। একই সঙ্গে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চালু থাকা সমবায়িকার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও তিনি তত্ত্বাবধান করতেন। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি থেকে বিভিন্ন ধরনের কর, কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য প্রদেয় অর্থ খরচ করা হত। এআরসিএস বলেন, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযুক্ত কর্মী ধাপে ধাপে প্রচুর টাকা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি সমবায়িকার অ্যাকাউন্টটির কেওয়াইসি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক আপডেট করে। তখনই সমবায়িকার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কর্মীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর বার্তা আসতে থাকে। ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট নিলে চোখ কপালে ওঠে কর্তৃপক্ষের।
সমবায় জানিয়েছে, জেরার সময় ওই কর্মী স্বীকার করেছেন প্রায় তিন বছর ধরে তিনি একাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যাঙ্কের এক প্রাক্তন ম্যানেজারের নির্দেশে একাজ করতেন বলে তিনি দাবি করেছেন। বিভাগীয় তদন্তে নেমে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে ক্যাশ ক্রেডিট স্টেটমেন্টেও ব্যাপক গরমিল রয়েছে। কীভাবে এই গরমিল দিনের পর দিন ধরে বিভিন্ন মহলের নজর এড়িয়ে হয়ে গেল তা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শনিবার ব্যাঙ্কের স্পেশাল অফিসারের দায়িত্বে থাকা অম্লান ভাদুড়ি সাংবাদিকদের বলেন, অনিয়মের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না। পুলিস নিজেদের তদন্ত চালাবে। পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে এফআইআরে যাঁদের পদের উল্লেখ রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ইন চার্জ সৌমেন মুহুরি বলেন, আমি ক্যাশ-ক্রেডিট রিপোর্ট তৈরি করিনি। তবে সই করেছি। এর বেশিকিছু বলতে পারব না। ক্যাশিয়ার সুব্রত পাল বলেন, আমি নির্দোষ। এই বিষয়ের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, আমরা ধৃতকে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছি। আরও তদন্ত প্রয়োজন। দরকার পড়লে সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হবে।