বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি শুভাশিস পাল বলেন, আমরা পর্যবেক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী দলকে জেলায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি রয়েছি। পর্যবেক্ষক হিসেবে জেলার দায়িত্ব নিয়ে রাজীববাবু জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের রাজনীতি করে না। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকাই তৃণমূল দলের আদর্শ। সেইসময় প্রতিমাসে জেলায় একবার করে আসার কথা জানিয়েছিলেন রাজীববাবু। তবে একমাস কাটার আগেই আবার জেলায় পা রাখছেন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে।
তিনি আরও বলেন, জেলার আটটি ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলে বুথভিত্তিক একনিষ্ঠ ১০ জন কর্মীর নামের তালিকা তৈরি করতে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জনসংযোগ করার কথাও বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আমরা অর্ধেকের বেশি বুথ ভিত্তিক কর্মীদের নামের তালিকা বানিয়ে ফেলেছি। দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগের কাজও করা হয়েছে। তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আমরা তৈরি করে রেখেছি। আমরা জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক শ্রমিক সংগঠনকে ৪৯টি ভাগে ভাগ করে দিয়েছি। তার ফলে আগামী দিনে দলের কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে সুবিধা হবে। এবার রাজীববাবু আমাদের যা পরামর্শ দিয়ে যাবেন, সেভাবেই কাজ হবে।
গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিধায়ক গৌতম দাস বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় বার জেলায় এলেও এবার তিনি শ্রমিক সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন। আমাদের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে কোনও রিভিউ মিটিং হচ্ছে না। তিনি আমাদের যেমন নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার গঙ্গারামপুর ফুটবল মাঠে জেলা তৃণমূল শ্রমিক সম্মেলনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুর মতো রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করে দিয়ে যাবেন রাজীবাবু, এই আশায় রয়েছে নেতৃত্ব। তার পাশাপাশি জেলার দুই পুরসভা, বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর শহরে বিরোধীরা যাতে দাঁত ফোঁটাতে না পারে, সেই লক্ষ্যে শ্রমিক সম্মেলনের ওই সমাবেশ থেকে রাজীববাবু কর্মীদের চাঙা করতে পারেন বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।