সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, বোল্লাকালীর মেলায় প্রতি বছর কেপামারি করতে গিয়ে হাতেনাতে প্রচুর দুষ্কৃতীকে আমরা গ্রেপ্তার করে থাকি। এদের অনেকেই ব্লেড বা ধারালো চাকু নিয়ে অপারেশন করে। এবছর যাতে দর্শনার্থীরা পুজোর চারদিন সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিদর্শন করতে পারে সেদিকে নজর দিয়ে একাধিক কড়া পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভির পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়া সাদা পোশাকের প্রায় ৫০০ পুরুষ ও মহিলা পুলিস কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে।
কথিত আছে বোল্লা এলাকায় প্রায় ৪০০ বছর আগে জমিদার ছিলেন বল্লভ চৌধুরি। তাঁর নাম অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে এলাকার এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথর খণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন।এরপর জমিদার মুরারী মোহন চৌধুরী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে যান, তারপর তিনি বোল্লাকালীর কাছে মানত করে মামলায় জয়লাভ করেন। সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরে শুক্রবার ঘটা করে এই পুজোর আয়োজন হয়।
বালুরঘাট-গাজোল ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা এলাকায় এই পুজোকে কেন্দ্র করে চার দিন লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। বোল্লাকালীর মেলায় জেলার দর্শনার্থীরা শুধু ভিড় জমায় না, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো পাশ্ববর্তী রাজ্য ও জেলার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে প্রচুর দর্শনার্থী এখানে ভিড় করেন। সেই ভিড়ের মধ্যে কেপামারি করতে প্রচুর দুষ্টলোকের আনাগোনা হয়। এরা আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠিত ভাবে এসে এখানে মেলার চারদিন জড়ো হয়। এদের দৌরাত্ম্যে দর্শনার্থীদের সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। কেপমারদের হাতে অনেকে অনেক মূল্যবান সামগ্রী, টাকা পয়সা খোয়ায়। ১২-২৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা ভিড়ের মধ্যে দর্শনার্থী সেজে প্রবেশ করে থাকে। ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির সুযোগে ব্লেড দিয়ে পকেট অথবা ব্যাগ কেটে চুরি করে কেটে পড়ে তারা। কখনও আবার হাতের আঙুলের কায়দায় পকেট থেকে মানিব্যাগ, টাকা বের করে নেয়। এবার মেলার আগেভাগেই সেই কেপমারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সতর্ক হয়েছে পুলিস। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে এবছর প্রচুর সাদা পোশাকের পুরুষ ও মহিলা পুলিস কর্মী মেলায় নামানো হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করা হবে। বসানো হবে প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা। সিসিটিভি মাধ্যমে নজরদারি চালানো জন্য ২৪ ঘণ্টা পুলিস মোতায়েন থাকবে।