সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
ধর্নায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমাদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত ধর্না চলবে। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন দপ্তরের উর্দু মাধ্যমের টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষা হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার ২১৫ জন উত্তীর্ণ হন। এরমধ্যে ১১০ জনের চাকরি হয়। বাকিদের নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগের দাবিতে তাঁরা আদালতে মামলা করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত রাজ্যকে এই নিয়োগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
বিক্ষোভকারী মহম্মদ রফিক আলম বলেন, উত্তর দিনাজপুরে উর্দু মাধ্যমে টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের ব্যাপারে ওয়েবসাইটে যতক্ষণ পর্যন্ত নোটিফিকেশন না আসবে ততক্ষণ আমাদের বিক্ষোভ ধর্না চলবে। পুলিস এসে আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলেও ছাড়া পেয়ে আবার এখানেই বসব। বিক্ষোভকারীরা বলেন, এদিন রব্বানি সাহেবের বাড়িতে ধর্নায় বসেছি। কারণ ২০১৪ সালে আমরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছি। প্রথম ফেজে কাউন্সেলিং হয়েছিল। সেসময় আমরা ইন্টারভিউ দিয়েছি। কিন্তু প্যানেলে আমাদের নাম আসেনি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল শূন্যপদ নেই। কিন্তু এরপরে আমরা আরটিআই করে জানাতে পারি ৪২০টি শূন্য পদ ছিল। সরকার ১১০ জনেকে নিযোগ করে। বাকিদের কেন নিয়োগ হবে না? এনিয়েই আমরা আদালতে যাই। আমাদের পক্ষে রায় হয়। আদালত আমাদের এক মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। তারপর থেকে আমরা অপেক্ষা করে বসে আছি। কিন্তু এখনও নিয়োগপত্র পাইনি। এনিয়ে প্রশাসন, ডিপিএসসি সবাইকে জানিয়েছি। আমরা রব্বানি সাহেবকেও জানিয়েছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, হয়ে যাবে। তারপরেও অপেক্ষা করি। কিছু হচ্ছে না দেখে এসডিও অফিসের সামনে ধর্না দিয়েছিলাম। চাকুলিয়াতে শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন। সেসময় আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের কলকাতায় ডেকেছিলেন। গিয়েছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের পরে আমাদের নিয়োগ হবে। এরপরে আমরা বিভিন্ন ব্লকের ছেলেরা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। নির্বাচন শেষে রব্বানি সাহেবের কাছে কয়েকবার এসেছি। শুধুই আশ্বাস মিলেছে। ‘দিদিকে বলো’তে আমরা সকলেই আলাদা আলাদা করে ফোন করে সমস্যাটি জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। আমরা সরকারের কাছে ভিক্ষা নয়, অধিকার চাইছি। আজকে ধর্নায় বসার পরে রব্বানি সাহেব আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কেন নিয়োগ হবে না?
এই দিন সকালে, হঠাৎ করে একদল যুবক রব্বানি সাহেবের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ঘরের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে রব্বানি সাহেব বাইরে এসে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ভেতরে ডেকে কথা বলেন। এরপরেও সমস্যার সমাধান হয় না। কিছুক্ষণ পরে ইসলামপুর থানার এক এসআই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় রব্বানি সাহেব আবার বাইরে আসেন। বিক্ষোভকারীদের তিনি জানান বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। এরপরে তিনি গোয়ালপোখরের উদ্দেশে বেরিয়ে যান। রাত পর্যন্ত মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ওই চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নায় বসে রয়েছেন।