সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এদিন ওই দুর্ঘটনার ফলে জখম হয়েছেন দুইজন টোটো আরোহীও। আহতদের এলাকার বাসিন্দারাই উদ্ধার করেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিনের দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসীরা একযোগে জানান, পুরাতন মালদহ শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে টোটোগুলি। ট্রাফিক পুলিসের নজরদারির অভাবের ফলেই তারা কোনও বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করে না। এছাড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এখন অল্পবয়সী ছেলেদের টোটো চালাতে দেখা যাচ্ছে। সাবালক না হওয়া সত্ত্বেও তারা কীভাবে টোটো চালানোর অনুমতি পাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর দাবি, এদিন ওই টোটোটিও চালাচ্ছিল একটি অল্পবয়সী ছেলে। এদিন শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর ওই এলাকায় রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ হওয়ায় ব্যাপক যানজট হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত পথ অবরোধ চলে। পরে এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিস।
এবিষয়ে মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাজা বলেন, শহরের বালিয়া নবাবগঞ্জ এলাকায় টোটো দুর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাতে সাময়িকভাবে পথ অবরোধ হয়। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন কোনও উত্তেজনা নেই।
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার বেবি দাস চৌরাসিয়া বলেন, সকালে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে একটি শিশু মারা গিয়েছ। শিশুমৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এধরনের দুর্ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেবিষয়ে পুলিসকে বলা হয়েছে ।
শিশুটির বাবা কিরণ হালদার বলেন, সকালে ছেলে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। একটি টোটো এসে সজোরে তাকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। টোটোর নিচে ছেলে চাপা পড়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভাবতে অবাক লাগছে, সামান্য দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম। দোষী চালকের যাতে শাস্তি হয়, সেবিষয়ে পুলিসকে বলেছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে বাড়ির বাইরে খেলছিল শিশুটি। সেসময় সে নবাবগঞ্জে চেচু মোড়, জাতীয় সড়ক সংযোগকারী রাজ্য সড়কের উপরে চলে আসে। রাস্তা সংলগ্ন এলাকাতেই শিশুটির বাড়ি। সে যখন বাড়ির দিকে আসছিল, তখন তাকে টোটোটি ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ঘটনায় দুই যাত্রীও গুরুতর জখম হন। সে সময় স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুসহ যাত্রীদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। তারপরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ওই রুটের বেশকিছু টোটোতে ভাঙচুর করা হয়।