কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা তথা অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা ভূদেব কর্মকার বলেন, প্রায় ৪০ বছর আগে হরিপুর সহ আরও ১০টি গ্রাম মিলে একটি বড় করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হবে বলে স্থির করা হয়। সেই অনুযায়ী ১০ গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে হরিপুর দুর্গা মোড়ে দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে বাঁশের বেড়া ও খড়ের ছাউনি দিয়ে মন্দির গড়া হয়। পরে সকল গ্রামের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে মন্দিরের পাকা দেয়াল ও ছাদ তৈরি হয়। এই ১০ গ্রামের মধ্যে দুটি গ্রামে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষই বেশি। তাঁরাও এই পুজোয় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এবছর পুজোর জন্য দেড় লক্ষ টাকা বাজেট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা রাজ্য সরকারের অনুদান পাওয়া গিয়েছে। সাবেকি প্রতিমা তৈরি করেই পুজো হয়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত ৭০-৮০টি পশু বলি দেওয়া হয়। দশমীর দিন হরিপুর হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এবছর প্রদর্শনীতে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপযোগিতা গ্রামের মানুষদের প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেখানো হবে।
পুজো উপলক্ষে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মন্দির প্রাঙ্গণে মেলাও বসে। মেলায় আড়াইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন শামিল হয়। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান এই পুজোর অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ। পাশাপাশি মালদহ শহর থেকে ড্যান্স ট্রুপও আসে। কৃষ্ণলীলার আসর বসে।