সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজা মোড় থেকে ঐতিহ্যবাহী এলাকা মহারাজা হাটে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার উপর এই সেতুটি নাগর নদীর শাখা কাঞ্চন নদীর ওপর রয়েছে। সেতুটি স্বাধীনতার বহু আগে তৈরি হলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। লোহার খাঁচা দিয়ে তৈরি সেতুটি গত তিন দশক ধরে আরও দুর্বল হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষকে সাবধান করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে দুর্বল সেতু বলে সাইনবোর্ডও লাগানো হয়। নিত্যদিন এই সেতু পেরিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মহারাজা হাট ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত করেন। এলাকার ছাত্রছাত্রীরাও এই সেতু পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের সঙ্গে এলাকার নাজিরপুর, মহারাজা হাট, রুনিয়া, কুকড়াগণ্ডা, হালালপুর, মসলন্দপুর, ভাটোল, জগদীশপুর সহ বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ নিত্যদিন এই সেতু ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষার জন্য। পাশাপাশি, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়লে কিংবা পথ অবরোধের জেরে আটকে থাকলে বিকল্প রাস্তা হিসেবে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ছোট যানবাহনের চালকেরা। এর ফলে এই সেতু আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাই এলাকাবাসী স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে বিগত দিনে বহু আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। এব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের বিগত বোর্ডের সহ সভাধিপতি তথা বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ডের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে বলেন, পূর্ত দপ্তরের বরাদ্দকৃত ছ’কোটি ৮৪ লক্ষ ১৯ হাজার টাকায় সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখন ঘুরপথে বিকল্প একটি রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য। যতদিন পাকা সেতু নির্মানের কাজ চলবে সাধারণ মানুষ ওই রাস্তাটি ব্যবহার করবে। আগামী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ সেতুটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছোটন চট্টোপাধ্যায় বলেন, রায়গঞ্জ ব্লকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি পাকা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন ব্লকের সমস্ত স্তরের মানুষ। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ সেতুর নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় সকলেই খুশি হয়েছেন।