শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনাকর্মীদের হত্যা করলে তালিবানের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের অর্থ দেওয়ার কথা বলে রাশিয়ার এক গোয়েন্দা সংস্থা। কয়েক মাস আগে গোয়েন্দা মারফত এই তথ্য জেনেও মার্কিন প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে একটি সংঘর্ষে ২০ জন মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে কতজনের মাথার দাম রাশিয়া দিয়েছিল তা জানা যায়নি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেও ওই একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে লেখা নিউইয়র্ক টাইমসের এই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনকেই ভোট প্রচারে ঢাল করেছেন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিডেন। টাউন হলে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে তিনি বলেছেন, এই রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘটনা। এ প্রসঙ্গে আমি আবার জোর দিয়ে বলছি যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দেশের সেনা বিপদের মধ্যে রয়েছে জেনেও খারাপই করেছেন।
যদিও হোয়াইট হাউস এই রিপোর্টের সত্যতা অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স কেউই এই গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবগত নন। পাশাপাশি নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনকে অসত্য আখ্যা দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি। রাশিয়াও এই রিপোর্টকে ‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়েছে। এমনকী, নিউ ইয়র্ক টাইমস তালিবানের এক মুখপাত্রকে রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনিও তা উড়িয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু ভোট ময়দানে ট্রাম্পকে বেঁধার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বিডেন। কূটনৈতিক স্তরে রাশিয়াকে জবাব দিতে আমেরিকা ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যাঁরা দেশরক্ষার কাজে নিবেদিত, তাঁদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হয়েছে জানিয়ে বিডেন বলেছেন, উনি (ট্রাম্প) শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাই নয়, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের দেশের সেনাবাহিনী আগে কখনও এমন হুমকির মুখোমুখি হয়নি। আজ তাঁদের রক্ষাকর্তা এক বিদেশি শক্তির কাছে অন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর পরেই দেশবাসীর প্রতি বিডেনের প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তাঁর মোকাবিলা করতে হবে এবং মূল্য চোকাতে হবে।