লন্ডন, ১০ জানুয়ারি (পিটিআই): ব্রেক্সিটের আগেই বড় বিপর্যয়ের মুখে ব্রিটেন। রাজকীয় কোনও সুযোগ-সুবিধা না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন যুবরাজ হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রামে একথা ঘোষণার পর থেকেই আশঙ্কার মেঘ বাকিংহাম প্যালেসে। ব্রিটেনে ঘুরতে আসা মার্কিন নাগরিকরা হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু ব্রিটিশরা বিষয়টি নিয়ে মোটেই খুশি নয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কানাডা ফিরে গিয়েছেন হ্যারির স্ত্রী তথা ডাচেস অব সাসেক্স মেগান। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানান দম্পতির মুখপাত্র। এবারের ক্রিসমাস উৎসব কানাডায় মেগানের মায়ের সঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আট মাসের ছেলে আর্চিকে কানাডায় ন্যানির কাছে রেখেই হ্যারি-মেগান চলতি সপ্তাহে লন্ডনে ফিরেছিলেন। এরপরেই গতকাল তাঁরা ঘোষণা করেন, ‘শুধুমাত্র রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে থাকার বদলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করছি। আমরা আমাদের সময় ব্রিটেন ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে ভাগ করতে চাই।’
গতকাল হাউস অব কমন্সে পাশ হয়েছে ব্রেক্সিট বিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার দিকে একধাপ এগিয়ে গেলেও ব্রিটেনের জনমানসে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং রাজ পরিবারে ভাঙন নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। গতকাল রাতেই লন্ডনের মাদাম তুসোর মিউজিয়ামে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে হ্যারি-মেগানের মোমের মূর্তি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গতকালই এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন।
এদিন বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে ব্রিটিশ অপারেশন ম্যানেজার পল ব্রাউন বলেন, ‘আমার মনে হয়, এর ফলে রাজ পরিবার ব্রিবত হবে। বিষয়টি এড়ানো যেত।’ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য রজার সেইন্সবারির মতে, ‘হ্যারি-মেগান জানেন তাঁরা কী করতে চলেছেন। তাঁরা যে পদে ছিলেন তার বহু সুবিধা থাকলেও, এটা খুবই কঠিন একটা কাজ।’ প্যালেস ঘুরতে আসা মার্কিন নাগরিক অ্যান্ডু স্টির্নকেট, টিনা জুলিয়ারা অবশ্য বিষয়টিকে সমর্থনই করছেন। অন্য দেশের পর্যটকরাও হ্যারি-মেগানের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন।