নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলায় সদ্য চালু হওয়া জলীয় বাষ্প বা স্টিমের সাহায্যে প্রস্টেট অপারেশনে এবার সারা ভারতে রেকর্ড করে ফেলল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। শনিবার, একই দিনে সাতজন রোগীর উপর এই নয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করলেন মেডিক্যাল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, ওয়াটার ভেপার থেরাপি বা জলীয় বাষ্পের মাধ্যমে প্রস্টেট অপারেশনের এই নতুন পদ্ধতিতে এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের চিকিৎসা হল। শুক্রবার আরও এক রোগীর এনলার্জড প্রস্টেটের অপারেশন হয়েছে এই পদ্ধতিতে। ফলে এখনও পর্যন্ত আটজন রোগীকে সুস্থ করেছে ওয়াটার ভেপার থেরাপি। প্রসঙ্গত, এর আগে এ মাসেরই মাঝামাঝি সময়ে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রথম এই থেরাপির প্রয়োগ করে রেকর্ড গড়ে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এবারে অপারেশনের সংখ্যার হিসেবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ শুধু এনআরএস’ই নয়, টপকে গেল সব হাসপাতালকেই। হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ সুনির্মল চৌধুরী এবং অধ্যাপক ডাঃ মলয় বেরা বলেন, প্রতিটি অপারেশনে গড়ে মাত্র ১০ মিনিট সময় লেগেছে। সবচেয়ে বড় কথা, রোগীরা প্রত্যেক সুস্থ আছেন।
এই ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের নিডলের সাহায্যে ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রয়োগ করা হয় স্টিম। তাতে অল্প সময়েই অতি বর্ধিত প্রস্টেট গ্রন্থি আগের চেহারায় ফিরে আসছে। এই থেরাপি প্রয়োগের প্রধান যন্ত্র হল একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জেনারেটর। দাম কোটি টাকারও বেশি। তার মাধ্যমেই জলকে ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা জলীয় বাষ্পে পরিণত করা হয়। দ্বিতীয় যন্ত্রটি একটি হ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্ট। তার মাধ্যমে নিডল বা সূচ দিয়ে জলীয় বাষ্প দেওয়া হয় প্রস্টেটে। সেটির দাম প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এক একজন রোগীর জন্য গড়পড়তা সূচবাবদ খরচ পড়ে ৭০ হাজার টাকা। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, প্রাইভেটে এই চিকিৎসা করতে রোগীপিছু খরচ পড়ত কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা। যদিও সরকারি হাসপাতালে এই অপারেশন হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।