পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য বিরোধীদের কথায় কোনওদিনই কর্ণপাত করেননি। লোকসভা ভোটের শেষ পর্ব এবং ফলপ্রকাশের সময় যত এগিয়ে আসছে, তত নিজের ১০ বছরের সযত্নলালিত সাফল্য প্রচার থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি। হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে আঁকড়ে ধরে উন্নয়নের দাবিকে ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন পিছনের সারিতে। কিন্তু এদিন শুধু ধর্ম নয়, প্রাদেশিক বিভাজন ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের রাস্তাতেও হাঁটেন প্রধানমন্ত্রী। সাফ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন বিহারবাসীকে অপমান করে কথা বলছেন। তিনি বিহারী বিরোধী। অথচ আরজেডি কিংবা কংগ্রেস কোনও প্রতিবাদ করছে না। আরজেডি নিজেদের প্রতীক নিয়ে মুজরা করছে, অথচ তাদের বিহারীদের এই অপমানের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।’
মোদির মুখে এভাবে বারবার ‘মুজরা’ শব্দটি উঠে আসায় জ্বলে উঠেছে বিরোধীরা। তাদের সাফ কথা, আমাদেরই মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যাচ্ছে। একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ কী ভাষা! কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, ‘আমাদের আর কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ আমরা এখন বুঝতে পারছি যে, মোদিজি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর মস্তিস্ক এমন সব ভাষা উপহার দিচ্ছে যে, প্রমাণিত হচ্ছে তিনি শালীনতার ভারসাম্য হারিয়েছেন। আমরা অমিত শাহ এবং জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে অনুরোধ করছি, মোদিজিকে প্রচারের এই পরিশ্রম থেকে মুক্তি দিন।’ আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষাতেই স্পষ্ট যে, একদিকে তিনি ভয় পেয়েছেন। তাই নিজের প্রকৃত চেহারা নার্ভাস হয়ে প্রকাশ করে ফেলছেন। উন্নয়ন কিংবা সাধারণ মানুষের ইস্যু ছাড়া মোদিজি এখন সরাসরি বিদ্বেষ, অপশব্দ এবং ঘৃণার রাজনীতি করছেন।’ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখনই ডাক্তারের কাছে যাওয়া!