পুনে (পিটিআই): পুনের গাড়ি দুর্ঘটনা কাণ্ডে নয়া মোড়! এবার অভিযুক্ত নাবালকের দাদুকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। পারিবারিক গাড়িচালককে ‘অন্যায়ভাবে আটকে’ রাখার অভিযোগে সুরেন্দ্র আগরওয়ালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, তিনি দুর্ঘটনার দায় নেওয়ার জন্য পারিবারিক চালককে চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকী, তাঁকে হুমকিও দেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নাবালকের বাবা বিশাল আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিলাসবহুল গাড়ি দুর্ঘটনা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে তাঁর নামও। একদিন আগেই পুনে পুলিসের প্রধান অমিতেশ কুমার জানান, আড়াই কোটি টাকা দামের পোরসে গাড়িটি যে ১৭ বছরের নাবালকটি চালাচ্ছিল না, তা প্রমাণ করার জন্য ওই পরিবারের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল। এই মামলা নথিভুক্তের ক্ষেত্রে অযথা দেরি করা এবং কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে পুনে পুলিস শুক্রবার ইয়েরওয়াড়া থানার একজন ইনসপেক্টর সহ দুই পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। জানা গিয়েছে, পারিবারিক চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়েরওয়াড়ার পুলিস ওই নাবালকের বাবা ও দাদুর বিরুদ্ধে আলাদা মামলা রুজু করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৫ এবং ৩৬৮ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুনের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক অফিসার জানিয়েছেন, গাড়ি দুর্ঘটনার পর ওই নাবালকের দাদু ও বাবা পারিবারিক চালকের ফোন নিজেদের কাছে রেখে দেন। পাশাপাশি, ১৯ ও ২০ মে তাঁদের বাড়িতে চালককে আটকে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত চালকের স্ত্রী এসে তাঁকে মুক্ত করে নিয়ে যান। সূত্রের খবর, মোটা অঙ্কের টাকা ও দামি উপহারের বিনিময়ে চালককে রবিবারের দুর্ঘটনার দায় নেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর পারিবারিক চালক থানায় বিবৃতি দিয়েছিলেন, গাড়িটি ওই নাবালক নয়, তিনিই চালাচ্ছিলেন। এই বিষয়ে পুলিস কমিশনার বলেন, ‘কেন এবং কার চাপে তিনি এ কথা বলেছিলেন, উপযুক্ত সময়েই তা প্রকাশ করা হবে।’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ওই চালকের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। কমিশনার জানিয়েছেন, ওই চালক ও তার পরিবারকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মামলা সংক্রান্ত রক্ত ও ডিএনএ স্যাম্পেল রিপোর্ট আগামী সপ্তাহেই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ওই নাবালক মদ্যপ অবস্থায় বিলাসবহুল গাড়িটি চালাচ্ছিল। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অনীশ আওয়াধিয়া ও অশ্বিনী কোস্তার। বর্তমানে জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত নাবালককে।