কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর ডুবতে বসা অর্থনীতিকে রক্ষা করতে আজ একঝাঁক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন গভর্নর। কারণ, গত মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল,আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ১.৯ শতাংশ। ধরে নেওয়া হচ্ছিল, বিশ্বের তুলনায় ভারত অন্তত কিছুটা হলেও নিজেকে মন্দা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে। কিন্তু একমাসের মধ্যেই সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক বুঝিয়ে দিল, অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি চরম অন্ধকারের দিকেই এগোচ্ছে। আজকের এই পূর্বাভাস থেকে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজও বিশেষ কোনও সুফল বয়ে আনতে পারবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখনই মুদ্রাস্ফীতির হার কমার সম্ভাবনা নেই। সবথেকে বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে পেট্রোলিয়াম ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকায়।
আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা থেকে গ্রহণ করা যাবতীয় ঋণ পরিশোধের মাসিক কিস্তি আরও তিনমাস পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারে ঋণগ্রহীতারা। অর্থাৎ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই লোন পরিশোধ স্থগিত রাখা যাবে। গত মার্চ মাসেই তিনমাসের জন্য ঋণ শোধ প্রক্রিয়া স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে ওই প্রক্রিয়া ছিল ঐচ্ছিক। প্রশ্ন উঠেছিল, তিনমাসের বকেয়া কিস্তির উপর সুদ একসঙ্গে যখন আদায় করা হবে, তখন সেটা কি অনেক বড় বোঝা হিসেবে চেপে বসবে না? আজ সেই আশঙ্কার কথা উত্থাপন করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান বলেছেন, বকেয়া সুদ লোনগ্রাহকদের উপর একধাক্কায় চাপানো চলবে না। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ধাপে ধাপে তা আদায় করবে ব্যাঙ্ক।
সেই সঙ্গে আজ পুনরায় রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট দুটোই কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কমিটি। রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। রেপো রেট কমানোর অর্থ হল, ব্যাঙ্কগুলির উপর সুদের বোঝা কম হবে এবং ব্যাঙ্কও পাল্টা সেই সুবিধা প্রদান করবে সাধারণের ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদ কমিয়ে। অর্থাৎ বাড়ি, গাড়ি, শিল্পে ব্যাঙ্ক লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার কমছে। কমবে ইএমআই। কিন্তু সাধারণত যখনই রেপো রেট কমিয়ে একদিকে লোন গ্রহণ ও কিস্তি শোধের ক্ষেত্রে সুরাহার ব্যবস্থা করা হয়, তখন অন্যদিকে ব্যাঙ্কে জমা থাকা সাধারণ গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে প্রাপ্ত সুদও কমানো হয়। সুতরাং, আজকের ঘোষণার পর ফের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার কমতে চলেছে, একথা বলাই যায়। যা পুনরায় আঘাত হানবে মধ্যবিত্ত ও অবসরপ্রাপ্তদের মাসিক আয়ে।