শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
ইতিমধ্যে পশু চিকিৎসককে গণ ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে একদিন। এখনও দেশের বহু জায়গায় চলছে এনকাউন্টারের উল্লাস। এরমধ্যেই এনকাউন্টারে মৃত চেন্নাকেশবালুর স্ত্রী রেণুকার বক্তব্য সামনে এল। হতাশা আর অসহায়তা ঝড়ে পড়েছে সন্তানসম্ভবা এই মহিলার কণ্ঠে। তাঁর কথায়, ‘ভুল করে কত মানুষই তো জেলে রয়েছে। ওদের যেভাবে গুলি করে মারা হয়েছে, তাদেরও সেভাবে গুলি করে মারা হোক। ততদিন পর্যন্ত আমরা দেহ সৎকার করব না। তাদেরও এইভাবে মারার পরেই আমরা দেহ সৎকার করব।’ অপরদিকে, মৃত নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, এনকাউন্টারে মৃতরা তাঁর মেয়ের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করেছে। পুলিস যেভাবে তাদের মেরেছে, তাই ওদের প্রাপ্য ছিল। পুলিসি অভিযানের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের প্রশংসা করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত চারজনই গরিব পরিবারের সন্তান। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও সামান্য। এতকিছু পরেও তারা ভালোই আয় করত। জীবনযাপনও ছিল বিলাসবহুল। মদ এবং অন্যান্য নেশার পিছনে বহু টাকা ওড়াত। এদিকে, সারা দেশের বহু এলাকার সঙ্গে শনিবারও হায়দরাবাদে ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে নিকেশের উদযাপন চলছে। শহরে মহিলাদের একটি সংগঠনের তরফে এদিন এক অনুষ্ঠানে পুলিস এবং মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের প্রশংসা করে স্লোগান দেওয়া হয়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতিতার নিখোঁজ ডায়েরি না নেওয়ার জন্য পুলিসের সমালোচনা করে শনিবার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজনের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা এম ভাট্টি বিক্রমার্কের অভিযোগ, শাসকদল টিআরএসের সুপারিশ না পেলে পুলিস এখানে কোনও মামলা গ্রহণ করে না।
অপরদিকে, পুলিসি এনকাউন্টার নিয়ে তদন্ত শুরু করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সূত্রের খবর, কমিশনের কর্মীরা মেহবুব নগর হাসপাতালে এনকাউন্টারে মৃতদেহগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন। উল্লেখ্য, শুক্রবারই এনকাউন্টার নিয়ে তদেন্তর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এরমধ্যেই শনিবার পুলিসের উপর হামলা করার অপরাধে এনকাউন্টারে মৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল। জানা যাচ্ছে, মৃত চারজনের সঙ্গে থাকা পুলিস দলের ইনচার্জের রিপোর্টের ভিত্তিতে শুক্রবার এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।