শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি তুঙ্গে মোদি সরকারের অন্দরে। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী তাবৎ অকংগ্রেসি ও অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছেন। সংসদের অভ্যন্তরে লোকসভা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু রাজ্যসভায় সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতেই ঝাঁপাতে হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগ সংসদের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অসম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিক্ষোভ কিছুতেই কমছে না। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক যে, আগামী ১০ ডিসেম্বর সাতটি রাজ্যের ছাত্র সংগঠনগুলির সম্মিলিত মঞ্চ সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই মিলিত সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল একবার পাশ হয়ে গেলে গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা স্থায়ীভাবে জায়য়া করে নেবে।
এদিকে, উন্নাও কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার রীতিমতো ব্যাকফুটে। ধর্ষণের এক বছর পর সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই অত্যাচারিতাকে ধর্ষকরাই আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। গতকাল দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ওই হতভাগ্য মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে ৯০ শতাংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। আজ এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, গোটা দেশে প্রবল জনরোষ তৈরি হয়েছে। সকালেই অত্যাচারিতার বাড়িতে চলে যান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর বলেন, উত্তরপ্রদেশ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব বিধানসভার সামনেই ধর্নায় বসেন। মায়াবতী রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে বলেন, এই সরকারের আমলে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা অবস্থার এতটই অবনতি হয়েছে যে, কোনও অপরাধী আর আইনকে ভয় পায় না। যোগী সরকার চরম বিব্রত হয়েছে যখন, সরকারের দুই মন্ত্রী ওই গ্রামে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান। তখন গ্রামজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। মন্ত্রীদের প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাহুল গান্ধী আজ বলেছেন, ভারত আজ বিশ্বের মধ্যে ধর্ষণের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। গোটা ভারতবাসীর মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। তেলেঙ্গানার পুলিশের ধাঁচে উন্নাওয়ের অপরাধীদের এখনই সাজা দেওয়ার দাবিও উঠেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, অপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে। উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে জনরোষ তৈরি হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।