কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিকে, ‘জল’ রাজ্যের বিষয়। তাই টার্গেট পূর্ণ করতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার উপর জোর দিলেন মন্ত্রী। প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার পাশাপাশি জল সংরক্ষণ, জলের পুর্নব্যবহার ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে সব রাজ্যের বিভাগীয় মন্ত্রীদের আজ এক বৈঠকে ডেকেছিল কেন্দ্র। কিন্তু বিজ্ঞান ভবনের ওই বৈঠক বয়কট করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা ‘দুঃখজনক’ বলেই এক প্রশ্নের উত্তরে মন্তব্য করলেন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। যদিও মন্ত্রকের পানীয় জল এবং নিকাশি বিভাগের সচিব পরমেশ্বরন আইয়ার পরে জানান, আজ পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি না এলেও আমরা সর্বদা আশাবাদী যে বাংলা পানীয় জলের কর্মসূচিতে দূরে থাকবে না। এদিনের বৈঠকে না হলেও সময় সময় সচিব তথা অফিসারস্তরে বৈঠক হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘স্বচ্ছ ভারত মিশনে’ গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ সাফল্য এসেছে। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ করতে রাজ্যে রাজ্যে সরকারি খরচে তৈরি হয়েছে শৌচাগার। এবার নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন, সব বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জল। একইসঙ্গে জল সংরক্ষণ। কারণ দিন দিন মাটির নীচে জলের স্তর যেমন কমছে, একইভাবে বাড়ছে চাহিদা। তাই জোগানের ব্যবস্থা করতে রাজ্যগুলি কী উদ্যোগ নিয়েছে, কেন্দ্র কীভাবে সাহায্য করতে পারে, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতেই ডাকা হয়েছিল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।
সেখানেই প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, পঞ্চায়েত এবং পুরসভাকে ‘জল জীবন মিশনে’ সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হবে। রাজ্যগুলির পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত যে বিভাগ রয়েছে, তাদের আরও উদ্যোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে মানুষের মধ্যে তৈরি করা হবে সচেতনতা। জল যাতে অপচয় না হয়। প্রয়োজন মতো জল ব্যবহার এবং তার ফের ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জলকে পানের উপযোগী করতে স্বচ্ছ এবং শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া ব্যবস্থা বাড়ানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়ুয়াদের জল সচেতনতা নিয়ে বিশেষ পাঠ দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, পানীয় জল পৌঁছনো নিয়ে চটজলদি কোনও সমাধান সম্ভব নয়। তাই রাজ্যগুলির মতামত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য বৈঠকে না আসাটা দুঃখজনক। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যে বর্তমানে মাত্র ৫ শতাংশের মতো বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে উল্লেখ করে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, এই মুহূর্তে সিকিম সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। ওই রাজ্যের ৯৯ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সিকিমকে মডেল করেই এগতে চায় কেন্দ্র। জানিয়ে দেন তিনি।