পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
তদন্তকারীদের জিহাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকাকালীন অপর একটি খুনের ঘটনায় ধরা পড়ার পর সে জেনেছিল, এহেন মামলায় রক্তের নমুনা পাওয়াটা কতটা জরুরি তদন্তকারীদের কাছে। সে কারণেই রক্তের চিহ্ন লোপাট করাটা তার কাছে জরুরি হয়ে পড়েছিল। জিহাদ জানিয়েছে, এমপি খুনের ‘সুপারি’ নেওয়া সৈয়দ আমানুল্লা ওরফে আমান তাকে প্রমাণ লোপাট করার নির্দেশ দেয়। সে কারণেই নিউটাউন এলাকার আক্সিস মলের একটি দোকান থেকে ১৫ বোতল অ্যাসিড ও ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার আগাম কিনে রেখেছিল জাহিদ ও সিয়াম। মলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের ছবি ধরা পড়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ১৪ তারিখ দেহাংশ টুকরো টুকরো করে প্যাকেটে ভরে ফেলার কাজ শেষ হয়। জাহিদ সিআইডি কে জানিয়েছে, দেহাংশের সঙ্গে অন্য মাংসও মেশানো হয়। কোনও কারণে দেহাংশ ভর্তি প্যাকেট পাওয়া গেলেও, সেটি কীসের, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঘর পুরো সাফ করে তারা বাগজোলা খালের দিকে যায়। দেখে আসে সেখানে জলের স্রোত কী রকম আছে। তদন্তকারীরা বলছেন, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ফিরে এসে জিহাদ বাকিদের জানায়, ওই খালে দেহাংশ ফেলা যেতে পারে। এরপর ১৫ মে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার সময় আনোয়ার ও সিলিস্তা দেহাংশ ভর্তি বেশ কিছু প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে যায়। জিহাদ পুলিসের জেরায় জানিয়েছে, এরপর সে ও সিয়াম গিয়ে প্যাকেট ভর্তি আরও কিছু দেহাংশ ফেলে আসে ওই খালে। কলকাতা ছাড়ার আগে সে ফয়সল সাজি ও মুস্তাফিজুর গাড়ি ভাড়া নিয়ে রাজারহাট এলাকায় যায়। সেখানে একটি ভেড়ির মধ্যেও ফেলা হয় দেহাংশ।