পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই শনিবার বসিরহাটের দলীয় প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে হাড়োয়ার নির্বাচনী সভায় অংশ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর বিকেলে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে সল্টলেকে রোড শো করে। সন্ধ্যায় দলীয় প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে বাগুইআটিতে জনসভাও করেন তিনি। হাড়োয়ার সভামঞ্চ থেকে তাঁর আশঙ্কা ছিল—‘বিজেপির চক্রান্ত তো সবাই জানে। এই ঝড়-বৃষ্টির আবহাওয়ায় আমাকে ওঁরা মেরে ফেলতে পারে। আর আমাকে মেরে দিলে ওরা ভাববে, পথ খালি হয়ে গেল। বিজেপি জেনে রাখো, খালি হবে না। আমিই বিজেপিকে খালি করব।’
এদিনের তিনটি কর্মসূচিই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে শুরু হলেও, মমতার অপেক্ষায় থাকা মানুষ এক পা’ও নড়েননি। দু’টি সভাতেই উপচে পড়েছিল ভিড়। বাগুইআটিতে তিনি বক্তব্য শুরুই করেন বিজেপি সরকার হটানোর ডাক দিয়ে। মমতা বলেন, ‘একটা কারবার বানিয়ে রেখেছে বটে মোদি সরকার। সবাইকে গ্রেপ্তার করছে। অথচ, সবচেয়ে বড় চোর-ডাকাত তো তোমরা! বলছে, মোদির গ্যারান্টি! গ্যারান্টি নাকি ফোর টোয়েন্টি’! জমায়েতের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল—‘মোদি বলছেন, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিচ্ছেন, গ্যাস দিচ্ছেন! আপনারা পাচ্ছেন তো?’ সমস্বরে আওয়াজ ওঠে—‘না’। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ফের মমতার হুঙ্কার—‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে মা-বোনেরা নোড়া দিয়ে বিষদাঁত ভেঙে দেবে।’ মঞ্চে বিদ্রাহী কবি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীও উদযাপন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
হাড়োয়ার সভা থেকে নন্দীগ্রামের এদিনের অশান্তি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিজেপির কাজ গুন্ডামি করা। তাই খেজুরি ও নন্দীগ্রামে এদিন সকাল থেকে অশান্তি করেছে। আর মহিষাদলে কাল রাতে আমাদের কর্মীকে খুন করেছে।’ বাগুইআটিতে এসে নাম না করে বলেন, ‘ওই গদ্দারটা আমাদের কর্মীকে খুন করিয়েছে। নন্দীগ্রাম-খেজুরি দখল করছে। কী ভাবছে! নন্দীগ্রাম-খেজুরি দিয়ে দিল্লি দখল হয়ে যাবে? সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, আপনারা দেখলেন, মিথ্যাচার করে কীভাবে বিজেপি গোটা বিশ্বের কাছে বাংলার মাথা নত করে দিল। আপনারা এর জবাব দেবেন।’
এদিন দমদম-বাগুইআটির উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্ধ জেসপ কারখানা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা খুলতে চাই। বিজেপি সরকারই খোলার অনুমতি দিচ্ছে না। আমাদের সরকারই শ্রমিকদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। কোথায় বিজেপি? এদের উৎখাত করুন।