পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
সাউদখালির হাতেম আলি, শেখ কাসেদ বলেন, আমরা প্রতিবছর সাউদখালি মনসাবাজারে ১৭১নম্বর বুথে ভোট দিই। শনিবার সকালে ভোট দিতে যেতে বাধা দিয়েছিল বিজেপির লোকজন। তারপর পুলিস প্রহরায় বাড়ি থেকে বুথে যাই। ভোট দিয়ে আবার পুলিসি নিরাপত্তায় বাড়ি ফিরে এসেছি। এবার প্রথম আমাদের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল। একটা খুনের ঘটনায় মনসাবাজারে অনেক দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর এদিন ভোটের সময়ও ওই ঘটনাকে ইস্যু করে বিজেপি।
বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াচিড়া স্টেট প্ল্যান প্রাইমারি স্কুলের বুথে পোলিং এজেন্ট বসিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অরুণাভ জানা। স্থানীয় গেতম মোড়ে তাঁকে ঘিরে মারধর করে বিজেপির লোকজন। মুহূর্তে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও বুথ ছাড়েননি তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট। অঞ্চল সভাপতিকে মারধর করার পরও মাটি কামড়ে তিনি বুথে ছিলেন। খোদামবাড়ি মালতী খুল্লনা প্রাইমারি স্কুলেও বহিরাগত জমায়েত করে বিজেপি বুথ দখলের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীদের প্রতিরোধে সেই চেষ্টা ব্যাহত হয়। দু’দলের কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিন ভোটগ্রহণ চালুর ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। বুথের ২০০মিটারের মধ্যে জটলা করার অভিযোগে আধাসেনা লাঠিচার্জ করে। তাতে এক বৃদ্ধ জখম হন। এনিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। আধাসেনার তাড়া খেয়ে মাঠ দিয়ে ছুটে পালান লোকজন। গড়চক্রবেড়িয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটার কার্ড ও আধারকার্ড কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই সমস্যা মেটে।
২০২১সালে ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি ৪৮০০ভোটের লিড নিয়েছিল। শনিবার সেই ভেকুটিয়ায় প্রায় সর্বত্র বিজেপির চোখে চোখ রেখে ভোট করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়া গ্রেপ্তার হতেই বিজেপি কর্মীদের দাপট কমে যায়। এদিন বিকেল নাগাদ সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৯৭নম্বর বেরাপাড়া বুথে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির হাতে নিগৃহীত হন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল নেত্রী রাত্রি মণ্ডল। তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ২০২১সালের কারচুপি করে জেতার জবাব দিয়েছে নন্দীগ্রামবাসী। তাই বিজেপি হামলা চালাচ্ছে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভার বহু জায়গায় পোলিং এজেন্ট বসাতে পারেনি তৃণমূল। আমরা এখান থেকে ৩০হাজার ভোটের লিড পাব।