পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
এমনিতেই দেব অত্যন্ত জনপ্রিয়। রাজনীতিতে কটু কথার ফুলঝুরি ছুটলেও তিনি সেই তালিকায় নাম লেখাননি। সমস্ত ধরনের প্রশ্ন ও অভিযোগের উত্তর দেন হাসি মুখে। এদিনও বিভিন্ন বুথে ঘোরার সময় বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে অপ্রিয় প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি হাসিমুখে এড়িয়ে গিয়েছেন বিতর্ক। বলেছেন, ‘আজ আর কোনও বিতর্ক নয়। সকাল থেকেই দিনটা খুব ভালো যাচ্ছে। এটাই ধরে রাখতে চাই।’
এদিন দেব সকাল ৯টা থেকেই বুথ ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। খড়ার শরের দলপতিপুরে দু’টি বুথ পরিদর্শন করার সময় তাঁর কাছে খবর আসে, ঘাটাল বিধানসভা এলাকায় দৌলতচকে তৃণমূলের এজেন্টকে বিজেপি বসতে দিচ্ছে না। ততক্ষণে তাঁর কনভয় ঝুমি নদীর বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে যায়। তারপর আরও একটি সরু ব্রিজ রয়েছে। তার উপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। দেব দলীয় এক সমর্থকের বাইকে বসে পড়েন। বাইকেই দৌলতচকে পৌঁছন। যদিও তাঁর যাওয়ার আগেই পুলিস তৃণমূলের এজেন্টকে বসানোর ব্যবস্থা করে দেয়। ওখান থেকে দেব একটি টোটোয় করে ফিরে আসেন।
তারপর ঘাটাল বিধানসভার ফতেপুর বুথে যান। পরে ঘাটাল শহরের কয়েকটি বুথও তিনি পরিক্রমা করেন। দেব এদিন দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের মহিলা ভোট কর্মী পরিচালিত ‘আদর্শ বুথে’ যান। দেব যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই ভোটারদের লাইন ভেঙে গিয়েছে। লাইন ছেড়ে দেবের কাছে গিয়ে তাঁরা ভিড় করেন। দেবকে ছুঁয়ে দেখার এবং তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই দেবকে বলতে শোনা গিয়েছে, আপনাদের যাকে ভালো লাগবে তাকে ভোট দিন। শুধু একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার দেওয়া ভোটের উপরেই নির্ভর করবে আগামী দিনে আপনার ঈদটা কেমন কাটবে, পুজোটা কেমন যাবে। দেশ কোন পথে এগবে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ দাসপুর বিধানসভার শয়লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ পরিদর্শন করে পাঁশকুড়ার উদ্দেশে বেরিয়ে যান। পাঁশকুড়ার জিয়াখালি, রাতুলিয়া ডেবরার গঙ্গাদাসচক সহ কয়েকটি বুথ পরিক্রমা করতেই বিকেল সাড়ে চারটে বেজে যায়। সেখান থেকে পিংলা যেতেই তাঁকে নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় উচ্ছ্বাস। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই দেবকে মালা পরিয়ে, সবুজ আবির মাখিয়ে ‘বিজয় মিছিল’ সেরে নেন। দেব বলেন, এতদিন ধরে অনেক পরিশ্রম করেছে। আমার কর্মীরাই সব। ওরা একটু আনন্দ করতে চাইছে।