বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
অন্তর্ভুক্ত হবে।
কীভাবে এই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া হবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশ সোমবার সন্ধ্যায় জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে মুখ্যসচিব জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী সহ সব কর্মী সরকারি সমস্ত সুবিধার আওতায় আসবেন। করোনা বিপর্যয় প্রতিরোধে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের লড়াইকে কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী। কর্তব্যরত এইসব লোকজনের পরিবারের কোনও সমস্যা হলে, তাঁরা যাতে সরাসরি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তার জন্য খুব শীঘ্রই একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, করোনা প্রতিরোধে লড়াইয়ে নামা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিমার পরিমাণ এদিন ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের কর্মীরাও সেই বিমার আওতায় এলেন। ভিডিও কনফারেন্সে জেলাশাসকদের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, এই বিপর্যয় পর্বে কেউ যেন অনাহারে না থাকেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ভবঘুরে,
ভিনরাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিক
এবং ফুটপাতবাসী যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। দিতে হবে সরকারি
ত্রাণ (জিআর)।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে করোনা উপসর্গ পরীক্ষা কেন্দ্র চালু
হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে জানায়, তাদের কাছে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট বা পিপিই কম রয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব বিবেককুমার এই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, নতুন করে বেশ কিছু পিপিই এসেছে। এদিন রাতেই তা গাড়িতে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হবে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, বেসরকারি সংস্থার সাফাইকর্মীরা কাজ করতে চাইছেন না। বিষয়টি জেনে মমতার নিদান, আগামী দু’মাস এদের বেতন ১০ হাজার করে করুন। তাঁদের জানান, ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকবেন তাঁরাও। এরপর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথার সময় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুষম আহারের ব্যবস্থায় যেন কোনও খামতি না হয়, সে নির্দেশ দেন তিনি। মমতা বলেন, প্রাতঃরাশে সবাইকে একটি করে ডিম সিদ্ধ এবং বিকেলে একটি করে কলা খাবারের সঙ্গে দিন। কার্পণ্য করবেন না, সরকার টাকা দেবে।