বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
করোনা সংক্রমণ আটকাতে দেশজোড়া ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল। ওই তারিখ পর্যন্ত সারা দেশে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা বাতিল করেছে রেলমন্ত্রক। দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশিই বন্ধ রয়েছে কলকাতা মেট্রো এবং শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। লকডাউনের মেয়াদ আর বৃদ্ধি না পেলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা। কারণ ১৫ এপ্রিল এবং তার পরবর্তী যেকোনও তারিখের ট্রেনের টিকিট বুকিং চালুই রেখেছে রেলমন্ত্রক। কিন্তু পরিষেবা চালু হলেও তা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে আরও অন্তত এক মাস লাগতে পারে বলেই রেলের শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার মন্ত্রকের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সেই বৈঠকেই বিভিন্ন পর্যায়ে রেল পরিষেবা শুরু করার বিষয়টি উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রেলের সমস্ত সুরক্ষা কর্মী, রানিং স্টাফ, গার্ডস, টিটিইি সহ অন্য কর্মীদের আগামী ১৫ এপ্রিল অফিসে যোগদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিকে নির্ধারিত সূচি মেনে চালানো হতে পারে। এই ধাপে কিছু লোকাল ট্রেন পরিষেবাও চালু করা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন রেলমন্ত্রকের আধিকারিকেরা। লকডাউনের জেরে ১৩ হাজারেরও বেশি ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেখেছে রেলমন্ত্রক। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান অব্যাহত রাখতে শুধুমাত্র মালগাড়ি চালানো হচ্ছে। এছাড়া দেশের মোট ২৮টি রুটে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও এই ইস্যুতে যে মন্ত্রিগোষ্ঠী (গ্রুপ অব মিনিস্টার্স) তৈরি হয়েছে, তার সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেলমন্ত্রক। প্রতিটি ট্রেন চালুর আগে তার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিতে হবে রেলবোর্ডকেও। রেল সূত্রের খবর, বিভিন্ন ধাপে কোন কোন ট্রেন চালানো যায়, সেই ব্যাপারে পরিকল্পনা তৈরি করবে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে জোনগুলি। তাদের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে রেলমন্ত্রক। আগামী সপ্তাহের শেষে এই ইস্যুতে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এখনও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই ১৫ এপ্রিল থেকে রেল পরিষেবা চালু থাকছেই। যে কারণে এই মুহূর্তে উল্লিখিত তারিখ এবং তার পরবর্তী দিনগুলির জন্য অনলাইনে টিকিটও কাটতে পারছেন সাধারণ যাত্রীরা। যেহেতু ২১ দিনের লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল, তাই যাবতীয় ট্রেন বাতিল থাকছে ওইদিন পর্যন্ত। নতুন কোনও সিদ্ধান্ত না হলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে পরিষেবা চালু হওয়ার বিষয়টিতে নতুনত্ব কিছু নেই।’ কিন্তু কেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে দেরির আশঙ্কা করা হচ্ছে? অনেক ট্রেন কোচকে কোয়ারেন্টাইন শিবিরে পরিণত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু মূল পরিষেবা বন্ধ, তাই অনেক কর্মীকেই অন্য কাজে লাগানো হয়েছে। আর তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কিছুটা সময় লাগবেই।