বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে তৃণমূল স্তরে সকলকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে কাজ করে চলেছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা নিয়মিত তদারক করবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, পঞ্চায়েত ও জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক। তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদকে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় জোর দেওয়া ও পরিবেশ জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত এ ব্যাপারে ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা জানতে ছবিসহ কাজের বিবরণ পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদকেও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রামের মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে সচেতন করতে প্রচারাভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে তা দলবদ্ধভাবে নয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি করে এবং এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে। সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে, দূরত্ব বজায় রেখে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কী করণীয় আর কী করণীয় নয়, তা বোঝাতে হবে। হাটেবাজারে, রেশন দোকানে ভিড় করলে চলবে না। যদি কারও করোনা উপসর্গ থাকে, পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন এবং তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় থাকে, তা জেলাশাসকের দপ্তরকে জানাতে হবে। ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের বেঁধে দেওয়া কাজ এখন পঞ্চায়েতের প্রাধান্য। মানুষকে বারবার হাত ধোয়ার কথা, দোকানে-বাজারে বেশি ভিড় না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করার কাজ করবে পঞ্চায়েত।