বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তাদের ১১৬টি শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। আবেদনও জমা পড়েছে অনেক। লকডাউনের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও সেই প্রক্রিয়া নিয়ে আপাতত এগতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া তাদের রাজারহাটের ক্যাম্পাসের কাজও থমকে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবছরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাক বা ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন অ্যাসেসমেন্ট কাউন্সিল আসার কথা। তার জন্য কর্তৃপক্ষ কিছু কম্পিউটার কিনবে বলে ঠিক করেছিল। এছাড়াও ভবন সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা, সেসব কাজ আটকে গেল বলেই মনে করছেন কর্তারা। আধিকারিকদের মতে, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে বাড়িগুলির সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। বিটি রোড ক্যাম্পাসের ভবনেও কিছু জায়গায় চাঙড় খসে পড়ার মতো পরিস্থিতি। সেগুলি মেরামত করার অনুমতি নিশ্চই দেওয়া হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়োগ নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে। জানা গিয়েছে, ১০০টির মতো নিয়োগ আটকে যেতে পারে। তার মধ্যে কিছু পদের বিজ্ঞাপন হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক পদের ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। কিছু আবার ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকার কথা ছিল। সরকারি এই নির্দেশিকার জেরে সেসব আপাতত স্থগিত করে দিতে হতে পারে। এর বাইরে বেশ কিছু কেনাকাটার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলি নিয়ে এখন আতান্তরে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু কিনতেই হয়। এসি কেনার অর্ডার দিতেই হত, কারণ নতুন নতুন যন্ত্র আসে, তার ক্ষেত্রে লাগে। এসি কেনার অনুমোদন না পেলে তা বসানো সম্ভব হবে না। ল্যাবরেটরি সংক্রান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অধ্যাপকরা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য জানিয়েছে, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই শেষ। তাছাড়া বড় কিছু কেনাকাটারও নেই। তবে ভবন সংস্কারের কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে কিছু অর্ডার এলে, সেই কাজ থামিয়ে দিতে হবে। কলেজগুলির আশঙ্কা, বেতন দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ হয়তো করা যাবে না। তবে এই সংক্রান্ত শিক্ষাদপ্তরের কোনও বিস্তারিত নির্দেশিকা এলে পুরো বিষয়টি বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষদের একাংশ।