বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাবর্তন উৎসবে আচার্য জগদীপ ধনকার ছাড়াও উপাচার্য বাসব চৌধুরী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর ঘোষ, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন রাজ্যপাল বলেন, মাত্র ১২ বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় সবার সামনে তার উপস্থিতি প্রমাণ করেছে। আগামী দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছবে। দেশের জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন মেধা খুঁজে পেতে অত্যন্ত যত্নশীল। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য তিনি সর্বদা নতুন মেধার অন্বেষণ করতে চান।
এরপর বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যখন ডিগ্রি হোল্ডারার ভালো চাকরি পাচ্ছে না দেখি, তখন আমি খুব যন্ত্রণা পাই। এটা বর্তমান সময়ে ভয়ানক চিত্র। এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমি সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে আবেদন করছি, এইসব উচ্চ মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এদিন ছাত্রছাত্রীদের সাতটি পরামর্শও দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, কখনও জাতীয়তাবাদ নিয়ে আপস করবে না। এটাকে রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখলে হবে না। রাজনীতি রয়েছে রাজনৈতিক পার্টিগুলির জন্য। আমাদের জাতীয়তাবাদী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, হিংসাকে সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে। হিংসা দেখাটা খুব যন্ত্রণাদায়ক। পশ্চিমবঙ্গের মতো সংস্কৃতির পীঠস্থানে হিংসা কখনও কাম্য নয়। কিন্তু, এখনও তা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাজ্যপাল হিসেবে আমি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে চাইছি। কিছু ইতিবাচক অগ্রগতিও হয়েছে। রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরোধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর খুব চাপ তৈরি করে। আমি এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিঃসন্দেহে কিছু উদ্বিগ্নতার মতো বিষয় রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সকলের দ্রুত মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার স্বার্থে আমাদের সকলের একসঙ্গে সমস্যা সমাধানের কাজ করা উচিত।