বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এই উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে খাদ্য দপ্তরের যুক্তি হল, চাল না দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত রাইস মিল মালিকদের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা চলছে। এতে মালিকদের শাস্তি হলেও তাতে সরকারের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হবে না। মামলা বছরের পর বছর চলবে। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে যাবে। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ফয়সালা হলেও সরকারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ হবে না। সেখানে বকেয়া চাল আদায় ও ১০ শতাংশ অর্থ পেলে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এই কারণে প্রস্তাবটি রাখা হয়েছে।
গত ২০১৫-১৬, ১৬-১৭ এবং ১৭-১৮ আর্থিক বছরে চাল না মেটানো রাইস মিলগুলিকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই তিনটি বছরে বকেয়া চালের পরিমাণ ৪০ হাজার টনের মতো। খাদ্য দপ্তর সূত্রের খবর, চাল না দেওয়ার জন্য একাধিক জেলার ২০টিরও বেশি রাইস মিলের বিরুদ্ধে খাদ্য দপ্তর অনেক আগেই এফআইআর করেছে। সিআইডি তদন্তও হয়েছে। বেশ কয়েকজন রাইস মিল মালিক গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের কাছ থেকে যে ধান কেনা হয়, তা ভানিয়ে চাল উৎপাদনের জন্য নথিভুক্ত রাইস মিলগুলিতে পাঠানো হয়। প্রতি একশো কেজি ধান ভানিয়ে ৬৮ কেজি করে চাল দিতে হয় রাইস মিলগুলিকে। রাইস মিলগুলি ধান ভানানোর মিলিং ফি, পরিবহণ খরচ প্রভৃতি সরকারের কাছে পায়। ধান ভানিয়ে চাল না দেওয়া মিলগুলি স্বাভাবিকভাবে সেই খরচগুলিও পায়নি।
সরকারি সূত্রের খবর, সরকারের ধান ভানিয়ে তৈরি চাল বেশি দামে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার জন্যই তা দিতে পারেনি অভিযুক্ত রাইস মিলগুলি। তবে রাইস মিল মালিকদের দাবি, অনেক সময় আর্থিক লোকসানের কারণে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। একশো কেজি ধান ভানিয়ে বাস্তবে বড়জোর ৬৩-৬৪ কেজি চাল পাওয়া যায়। কিন্ত সরকারকে ৬৮ কেজি চাল দিতে হয়। এটাও লোকসানের কারণ। তবে রাইস মিল মালিকদের সংগঠনও এই কারণের জন্য অভিযুক্ত মিলগুলিকে ছাড় দিতে চায় না। তাঁদের বক্তব্য, বেশিরভাগ মিল তো নির্ধারিত হারেই চাল সরকারকে দিয়ে থাকে। কয়েকটি মিল তা পারবে না কেন?