বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
সাগরমেলার সময় পুজোর উপকরণ সহ নানাবিধ জিনিস ফেলার জন্য প্রতিবার সেখানকার জল ভয়ঙ্কর দূষিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তা স্নানের যোগ্য থাকে না। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিকের জিনিস ভাসতে ভাসতে গিয়ে জমা হয় মোহনায়। ছড়িয়ে যায় গভীর সমুদ্রে। কয়েক বছর আগে আদালতের নির্দেশে মেলা শেষ হওয়ার সময় একটি টিম সাগরের জল পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছিল। তাতে তা স্নানের অযোগ্য বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার অনেক আগে থেকেই সরকারিভাবে উদ্যোগ শুরু হয়। সমুদ্র দূষণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদকে ময়দানে নামায়। তাদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল সাগরমেলা সহ গোটা দ্বীপকে প্লাস্টিকমুক্ত করা। এজন্য দোকান ও বাজার এবং বাড়ি ঘুরে ঘুরে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকের বিকল্প পচনশীল জিনিস পৌঁছে দেওয়া হয়।
এছাড়াও মেলায় আগতদের হাত থেকে প্লাস্টিক নিয়ে তার বদলে ভুট্টা, শালপাতার জিনিস দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পর্ষদ থেকে এবার প্রথম ১৫ লাখ টাকা খরচ করে সমুদ্রতটের স্নানের জায়গা ১ থেকে ৫ নম্বর জলের দিকে ১০ মিটার পর্যন্ত অদৃশ্য বিপদ জাল পেতে দেওয়া হয়েছিল। জিবিডিএর এগজিকিউটিভ অফিসার জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, পর্ষদের উদ্দেশ্য ছিল, স্নানের সময় জলে যাই ফেলা হোক, তা ওই জালে আটকে যাবে। তা কখনই সমুদ্রে ছড়াতে পারবে না। তাতে জল দূষিত হবে না। তিনি বলেন, মেলার ক’দিন জাল তোলার সময় পাওয়া যায়নি। এদিন প্রথম তা টেনে তোলা হয়। ফুল, বেলপাতা, মালা, ধূপকাঠি, নকুলদানার প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল মিলিয়ে ২০ কুইন্টাল পুজোর বর্জ্য পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া কাপড়, ধুতি ও গামছা প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার পিস হবে। দু’হাজার পিস নারকেল পাওয়া গিয়েছে। জয়ন্তবাবুর কথায়, এখানে পচন ও অপচনশীল যা যা জিনিস পাওয়া গেল, তা ডিসপোজাল ইউনিটে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারাবছর ধরে এই জাল এখানে পাতা থাকছে। যাতে কেউ কিছু ফেললে সাগরে ছড়িয়ে না যায়। এখন থেকে সাতদিন অন্তর ওই জাল তুলে জিনিস সাফাই হবে। আগামী ৫ বছর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে।