বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এনআরসি-সিএএ-এনপিআর নিয়ে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি’র পাল্টা প্রচার কৌশলের মোকাবিলায় তাঁরা কীভাবে মোদি সরকারকে আক্রমণ করবেন, সে বিষয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্যও রয়েছে। এই অবস্থায় বাংলায় দলের এমপি, এমএলএ, জেলা ও গণসংগঠনের সভাপতি সহ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্যদের গোটা বিষয়টি বোঝানোর পাশাপাশি প্রচারের সুর বেঁধে দিতে একদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসেছিলেন চিদম্বরম। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে শহরে পৌঁছেই কংগ্রেসের এই নেতা পার্ক সার্কাস ময়দানে লাগাতার কয়েকদিন ধরে চলা সংখ্যালঘু মহিলা-শিশুদের ধর্না কর্মসূচিতে সহমর্মিতা জানাতে যান।
চিদম্বরম এদিন বলেন, এনপিআর মোড়কে এখন কেন্দ্র এনআরসি’র কাজ চালু করতে চাইছে। কংগ্রেস এবং ২০টি বিরোধী দলের তরফে তাই এনপিআর নিয়ে সব বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। ওই রাজ্য সরকারগুলি ইতিমধ্যেই এনপিআর চালুর ব্যাপারে আপত্তিও জানিয়েছে। তাহলে কেন শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্র আহুত এনপিআর বৈঠকে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির আধিকারিকরা অংশ নিলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা বলছি, এই বৈঠক সেন্সাস কমিশন ডেকেছিল। সেন্সাস বা জনগণনার কাজের আমরা বিরোধী নই। কিন্তু সেন্সাসের সঙ্গে এনপিআর করার জন্যও চাপ তৈরি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে মোদি সরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীরা এনপিআর নিয়ে আপত্তির কথা জানাবার জন্যই মুখ্যসচিবদের পাঠিয়েছেন ওই বৈঠকে। পাশাপাশি কেন্দ্র এনপিআর নিয়ে ঠিক কী চাইছে, তাও জানার দরকার ছিল আমাদের। আমরা নিশ্চিত, মুখ্যসচিবদের কাছ থেকে বৈঠকের রিপোর্ট নিয়ে আমাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের রাজ্যে এনপিআর চালু করবেন না। এনিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো অর্থহীন।
কিন্তু সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে লাগাতার পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিজেপি বিরোধীদের বৈঠক বয়কট করেছেন, সে বিষয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের মনোভাব কী? উত্তরে চিদম্বরম বলেন, আমরা চাই, সংবিধান বাঁচানোর প্রশ্নে এই ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী সব দল এক মঞ্চে আসুক। রাজ্য রাজনীতির বাধ্যবাধকতার প্রশ্ন হয়তো কখনও সমস্যা তৈরি করতে পারে। দেশের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় স্তরে সিএএ-এনআরসি নিয়ে সার্বিক ঐক্য জরুরি। তাই মমতাজি একটি বৈঠকে যাননি বলে পরেরটিতেও যাবেন না, তা নয়। আমরা ওঁকে পরের বৈঠকেও আমন্ত্রণ জানাব যথারীতি।
বিরোধীরা এই ইস্যুতে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগায় তাঁকেই এদিন পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন চিদম্বরম। তিনি বলেন, আমি মোদিসাহেবকে বলছি, আমাদের নয়, আপনি আপনার পছন্দমতো যে কোনও পাঁচজন সমালোচক, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীর মুখোমুখি বসে সব প্রশ্নের উত্তর দিন। সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব দেশের মানুষ টিভিতে সরাসরি দেখুক। তারপর তারা যা বিবেচনা করার, করুক। সুপ্রিম কোর্টে এই ইস্যুতে একাধিক মামলা হওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মোট সংখ্যা বা কারা মামলাকারী, এব্যাপারে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, মামলার গুণগত মান এবং সওয়ালকারীদের ভূমিকা।