বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আইআরসিটিসির হাতে অন্য কোনও ট্রেনের পরিচালনভার আপাতত আর তুলে না দেওয়ার প্রসঙ্গে কর্পোরেশনের জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আইআরসিটিসির হাতে দুটোমাত্র তেজস এক্সপ্রেসের ভারই রয়েছে। অন্য কোনও ট্রেনের পরিচালনভার আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বর্তমানে রেলের নেই। তবে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপস না করেই আইআরসিটিসি এই দুটো তেজস এক্সপ্রেস চালাবে।’ গতকালই আমেদাবাদ-মুম্বই আইআরসিটিসি তেজসের উদ্বোধনী যাত্রার সূচনা করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এর বাণিজ্যিক যাত্রার সূচনা হবে আগামীকাল, ১৯ জানুয়ারি থেকে। অন্যদিকে, গত অক্টোবর মাসেই নিউদিল্লি-লখনউ রুটে প্রথম ‘বেসরকারি’ ট্রেন আইআরসিটিসি তেজসের উদ্বোধন করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, নয়াদিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে তো বটেই, এমনকী বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু আগেই আমেদাবাদ-মুম্বইয় তেজসের সব টিকিট বুকড হয়ে গিয়েছে। এবং পরবর্তী বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত তা বুকড হয়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লি-লখনউ তেজসেও ঠাঁই নাই দশা। কিন্তু তা সত্ত্বেও রেল যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, দুটো তেজস এক্সপ্রেসেই ভাড়ার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বেশি।
এই পরিস্থিতিতেই রেল চাইছে, বেশি ভাড়ার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রেখে আইআরসিটিসি আদৌ সন্তোষজনকভাবে দুটো ট্রেন চালাতে পারছে কি না, তা আগে দেখে নিতে। রেল সূত্রের খবর, এই পর্যালোচনা থেকে এই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যাবে, ‘বেসরকারি’ ট্রেনের ক্ষেত্রে যাত্রীদের প্রত্যাশাটি ঠিক কী? রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বেসরকারি’ ট্রেন মানেই যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিজস্ব ট্রেন নিয়ে হাজির হতে হবে, তা নয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর যেসব সংস্থাকে বাছাই করা হবে, চাইলে তারা রেলের কাছ থেকে ট্রেন লিজে নিয়েও চালাতে পারবে।