বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পূর্ব রেলের অন্দরের খবর, কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখায় এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে মোট যাত্রী হয়েছিল ২,৩০,৯৭,৬২০ জন। সেই জায়গায় চলতি আর্থিক বছরের ওই মাসগুলিতে মোট ২,৩২,৯৮,২০০ জন সফর করেছেন। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি টিকিট বিক্রি খাতে আয়। দেখা যাচ্ছে, গত আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই শাখায় আয় হয়েছে ৪০,৬৩,৪৯,৭৬৪ টাকা। কিন্তু চলতি আর্থিক বছরের সংশ্লিষ্ট মাসগুলিতে এই শাখার আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯,২২,৬২,৬৩৪ টাকা।
কেন এই উলটপুরাণ? যাত্রীদের একাংশের টিকিট ফাঁকির জেরেই কি কমেছে আয়, তা নিয়ে জল্পনা চললেও, রেলকর্তারা তা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, কতজন টিকিট কাটছেন, সেই হিসেব থেকেই মোট যাত্রী সংখ্যার হিসেব করা হয়। কাজেই পুরোপুরি টিকিট ফাঁকি দেওয়ার কথা ঠিক নয় বলেই দাবি তাঁদের।
তাঁদের বক্তব্য, গত মাসে নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে এই শাখায় ট্রেন চলাচলে বড়সড় প্রভাব পড়েছিল। রেলের পরিকাঠামো ভাঙচুর থেকে শুরু করে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছিল। লালগোলা, কৃষ্ণপুর, সারগাছি, বেলডাঙ্গা, রেজিনগর স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয় আন্দোলনের জেরে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি লেভেল ক্রসিংও। যেভাবে পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে এই শাখায় কৃষ্ণপুর থেকে লালগোলা পর্যন্ত এখনও ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। এই শাখায় যতটুকু দূরত্বে ট্রেন চলছে, তাও একদিনে হয়নি, পর্যায়ক্রমে বেড়েছে। কাজেই যাত্রীরা যতটা অংশ ট্রেনে সফর করতে পারতেন, তা আন্দোলনের সময় থেকে সম্ভব হচ্ছে না। তাই যাত্রীদের সফরের দূরত্ব কমায় কম হয়েছে আয়ও। কিন্তু অন্যান্য শাখাতেও তো আন্দোলনের প্রভাব পড়েছিল? রেলের এক কর্তা বলেন, কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখার মতো দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব অন্যান্য শাখাগুলিতে পড়েনি। তাই একাধিক শাখায় যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে টিকিট বিক্রি খাতে আয়ও।